বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন লিপ অয়েল? —প্রতীকী ছবি।
সুন্দর মুখে কালচে, রুক্ষ ঠোঁট সমস্ত সৌন্দর্যকেই মাটি করে দিতে পারে। ওষ্ঠরঞ্জনীতে খুঁত যতই ঢাকা পড়ুক, ফাটা ঠোঁট লুকোনো বেশ কঠিন। শীতের দিনে এই সমস্যা বাড়লেও, গ্রীষ্ম বা বর্ষায় দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে ত্বক যেমন আর্দ্রতা হারাতে পারে, তেমনই ঠোঁটও শুকিয়ে যায়। তার উপর ধূমপানের অভ্যাস থাকলে নিকোটিনের পরতে ঠোঁট স্বাভাবিক জেল্লা ও রং হারায়। ঠোঁটের যত্নে লিপ অয়েল হয়ে ওঠে বিশেষ কার্যকর। ঠোঁটকে যত্নে রাখতে প্রাকৃতিক তেলের মিশ্রণে তৈরি হয় লিপ অয়েল। যা দীর্ঘ ক্ষণ ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ভিতর থেকে পুষ্টিও জোগায়। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবও থাকে না। রকমারি লিপ অয়েল কিন্তু খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। শিখে নিন প্রণালী।
নারকেল তেল ও ভিটামিন ই
২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে একটি বা দু’টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা তরল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঠোঁটের জন্য বিশেষ তেল। ভিটামিন ই ক্যাপসুল কাঁচি দিয়ে কেটে তা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ভাল করে।
কাঠবাদামের তেল ও মধু
১ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় লিপ অয়েল। একটি কাচের পরিষ্কার ও শুকনো পাত্রে তেল ও মধু মিশিয়ে রেখে দিলেই চলবে। ঠোঁটের যত্নে ভাল করে মুখ ধোয়ার পর এটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার লিপস্টিকের উপরেও লিপ অয়েল ব্যবহার করা যায়।
শিয়া বাটার ও অলিভ অয়েল
শিয়া বাটার শুধু ঠোঁট নয়, ত্বকের জন্যেও ভাল। অলিভ অয়েলেরও অনেক গুণ। একটি কাচের ছোট শিশিতে ১ চামচ গলিয়ে নেওয়া শিয়া বাটার ঢেলে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি সংরক্ষণ করে প্রতিদিন দু’বার ব্যবহার করলে ত্বক শুধু নরম থাকবে না, কালচে ভাবও দূর হবে।