চুলের যত্নে কী ভাবে কাজে লাগাবেন কফি। ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষার মরসুমে কখনও ঘামে, কখনও আবার বৃষ্টিতে ভিজে চুলের বারোটা বাজে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় আঁচরালেই একগুচ্ছ চুল হাতের মুঠোয় চলে আসছে। যদিও চুল ওঠার জন্য একা আবহাওয়া দায়ী নয়, এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের প্রভাব, কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক এবং জিনঘটিত সমস্যাও থেকেও চুল উঠে যায়। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম প্রসাধনী, নামী-দামি সংস্থার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না? মুশকিল আসান করতে পারে কফি। বাড়িতে কী ভাবে তৈরি করবেন কফি হেয়ার মাস্ক?
চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে
পুজোর ভিড়ে নজর কাড়তে চুলেও চাই জেল্লা। ঝলমলে চুল পেতে কফি দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ কফি আর ২ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মাথার ত্বক এং চুলের গোড়ায় প্যাকটি লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রাখুন। আধ ঘণ্টা বাদে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। অনেকের ভিড়েও আলাদা করে নজর টানবে আপনার চুল।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় আঁচরালেই একগুচ্ছ চুল হাতের মুঠোয় চলে আসছে।
চুল মসৃণ করতে
শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভুগছেন? কফি দিয়েই পেতে পারেন মোলায়েম চুল। চুলের মাস্কটি বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ কফি, আধ কাপ টক দই এবং ৩ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। হাত কিংবা ব্রাশের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন।
চুল প়ড়ার সমস্যা কমাতে
সারা বছর ধরে চুল ঝরলেও বর্ষায় এই সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। ঘন চুল পেতে ব্যবহার করতে পারেন কফির এই মাস্কটি। কফি পাউডার, লেবুর রস, দারচিনি গুঁড়ো— সবগুলি একসঙ্গে দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ফেলুন। তার পর শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে মেখে নিন এই প্যাকটি। মিলবে সুফল।