তিলের তেল দিন বানিয়ে ফেলুন চুলের প্যাক। ছবি: ফ্রিপিক।
চুলের যত্নে নারকেল তেল, জবার তেল যেমন উপকারী, তেমনই তিলের তেল। কেশ পরিচর্যায় বহু দিন ধরেই যে সমস্ত প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার হয়ে আসছে, তার মধ্যে তিলও একটি। আসলে এটি হল একটি বীজ, যা ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর। সাদা এবং কালো, দুই ধরনের তিল হয়। চুলের পরিচর্যায় দু’টিই ব্যবহার করা যায়। তিলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বায়োটিন, জ়িঙ্ক-সহ এমন নানা উপাদান, যা চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
কেন মাখবেন?
চুলের অকালপক্বতা রোধ করতে
চুলের গোড়া মজবুত করতে
মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে
চুলে আর্দ্রতা জোগাতে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চুলকে বাঁচাতে
কী ভাবে মাখবেন?
তিলের তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে মৃদু ভাবে মালিশ করলে চুল ভাল থাকে। অকালপক্বতা রোধ হয়, ডগা ফাটা কমে, চুল ঘন হয়। তবে তিলের সঙ্গে কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চুলের প্যাক।
তিলের তেল এবং অ্যালো ভেরা
চুল হোক ত্বক, অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাঁস রূপচর্চায় দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন অ্যালো ভেরা।
পদ্ধতি
একটি পাত্রে সমপরিমাণ তিলের তেল এবং অ্যালো ভেরার শাঁস বা জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে তা লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ জলে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
তিলের তেল, মধু এবং দই
একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ তিলের তেল এবং ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
পদ্ধতি
চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ে, হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে মাথার ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। জল দিয়ে ধোয়ার পর শ্যাম্পু করে নিন। তার পর ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।
সরাসরি তিলও কি ব্যবহার করা যায়?
তিলের তেল না থাকলে, তিল দিয়েও চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। কড়াইতে আঁচ কমিয়ে তিলের বীজ নাড়াচাড়া করে ঠান্ডা হলে গুঁড়িয়ে নিন। এক কাপ গরম জলে গুঁড়ো করা তিল ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর তা ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর এই স্প্রে ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে।