ওট্স দিয়েই হোক ত্বকচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে ওট্স বিষয়টা নতুন নয়। আবার, পুজোর আগে যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত ওট্স খান। দুধে ওট্স একটু বেশি ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ঘন, থকথকে হয়ে যায়। খেতে মোটেই ভাল লাগে না। বেশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফেলে দিতে হয়। তবে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ঘন ওট্স ফেলে না দিয়ে মুখে মেখে ফেলতে পারেন। নামীদামি প্রসাধনী মেখে মুখে যে যে সমস্যা দূর করতে পারেন না, সেই কাজ সহজেই করে ফেলতে পারে ওট্স।
মুখে হঠাৎ ওট্স মাখলে কী হবে?
১) ওটমিলের মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান্স। যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ারের মতো কাজ করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই উপাদানটি।
২) বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের টান টান ভাব বা ‘ইলাস্টিসিটি’ নষ্ট হতে শুরু করে। ত্বকের এই টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে কোলাজেন। কোলাজেন হল ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন। বাইরে থেকে সেই প্রোটিন উৎপাদেন সহায়তা করে ওট্স।
৩) ত্বকের উপর জমা তেল, ধুলোময়লার পরত সরিয়ে ফেলতে পারে ওট্স। তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই খাবার জিনিসটি।
৪) ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে ওট্স। ওটসের দানা খুব শক্ত হয় না। তাই স্পর্শকাতর ত্বকের ‘এক্সফোলিয়েটর’ হিসাবে ওট্স বেশ ভাল।
ওটমিলের মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান্স। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে ওট্স মাখবেন?
২ টেবিল চামচ ওটমিল এবং পরিমাণমতো গোলাপজল দিয়ে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে সেই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন মিনিট দশেক। তার পর হালকা হাতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক শুষ্ক হলে গোলাপজলের বদলে দুধ বা টক দইও মিশিয়ে নেওয়া যায়।