রসুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন রূপচর্চায়? ছবি: ফ্রিপিক।
ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। দুই গালে তো বটেই, কপালে, থুতনিতেও ব্রণয় ভর্তি। বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা, বাদ রাখেননি কিছুই। অথচ ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। সে ক্ষেত্রে একবার রসুন ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ রসুন যে কোনও ব্যাক্টিরিয়া ঘটিত সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। রসুনের অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান ব্রণ, ফুস্কুড়ি, দাগছোপ থেকেও রেহাই দিতে পারে। এখন কথা হল, রসুন কী ভাবে ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা কমবে?
ত্বক চিকিৎসকেদের পরামর্শ, রসুনের দুটি কোয়া থেঁতো করে নিয়ে তার সঙ্গে অল্প দুধ ও গোলাপজল মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ করে নিন। এই মিশ্রণ ব্রণর উপরে চেপে চেপে লাগাতে হবে। চোখে যেন না ঢোকে খেয়াল রাখবেন। এই ভাবে ১৫-২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে দেখতে পারেন।
অনেক সময়ে ব্রণ মিলিয়ে গেলেও তার দাগ রেখে যায়। এই দাগ ক্রিম বা প্রসাধনী লাগিয়েও যায় না। সে ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি রসুনের কোয়া থেঁতো করে তার সঙ্গে মধু ও অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পেতে পারেন।
রসুন থেঁতো করে তাতে দু’টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রসুন ও দই একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। আপনার ত্বক যদি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয় তা হলে রসুন ব্যবহারে সর্তক থাকুন। সরাসরি মুখের ত্বকে রসুন ব্যবহারের আগে হাতে লাগিয়ে দেখে নিন জ্বালা করছে কি না। যদি ত্বকের কোনও সংক্রমণ আগে থেকেই থাকে, তা হলে রসুন ব্যবহার করবেন কি না তা ত্বক চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেবেন।