কাঠবাদামেই কি লুকিয়ে আছে চুল ঝরার দাওয়াই? ছবি: সংগৃহীত।
গ্যাস-অম্বলের মতোই বারোমাসের সঙ্গী হল চুল ঝরা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে মেয়েরা একটু বেশি ভোগেন। চিরুনি চালালেই হাতে উঠে আসে গোছা গোছা চুল। এমন রাশি রাশি চুল ঝরতে আতঙ্কে বুক কেঁপে ওঠা স্বাভাবিক। তার পর চুল ঝরা আটকাতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে নানা প্রসাধনী ব্যবহার করার পর্ব শুরু হয়। পকেট গড়ের মাঠ করে কেনা প্রসাধনী মেখেও যখন সুফল পাওয়া যায় না, তখনই আসে হতাশা। তাতে আবার চুল ঝরার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে চুল ঝরা আটকাতে ভরসা হতে পারে কাঠবাদাম তেল।
কাঠবাদাম শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কাঠবাদামে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরে পুষ্টি জোগায়। তবে শুধু শরীর নয়, চুলের জন্যেও কাঠবাদাম খুবই উপকারী। কাঠবাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। কাঠবাদাম মাথার ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করে। চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত করে। ফলে সহজে চুল ঝরতে পারে না। চুলের গোড়া যাতে আলগা হয়ে না পড়ে, তার জন্য কাঠবাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। কী ভাবে বানাতে পারেন এই তেল?
এই তেল তৈরি করতে বেশি উপকরণের প্রয়োজন পড়বে না। কয়েকটি কাঠবাদাম, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল আর ক্যাস্টর অয়েল— এগুলি দিয়েই তৈরি হয়ে যাবে। ভেজানো কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কেটে নিন। এ বার ব্লেন্ডারে কাঠবাদাম কুচি আর তিন ধরনের তেল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি একটু থকথকে হবে।এ বার এই মিশ্রণটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নির্যাসটি একটি পাত্রে ঢেলে অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন। এই তেল বানানোর অন্তত দু’দিন পর থেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের গোড়ায় ভাল করে মালিশ করে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করে নেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলেই চুল কম ঝরবে।