—ফাইল চিত্র।
বায়োটিন, যার আর এক নাম ভিটামিন বি ৭, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত জরুরি। শুধু ত্বকই বা কেন, চুল এমনকি নখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে বায়োটিন। তার কারণ, ত্বক, চুল এবং নখ ভাল রাখার জন্য যে কেরাটিনের প্রয়োজন হয়, শরীরে তা তৈরি করতে সাহায্য করে ওই বায়োটিন। শরীরে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডকে ভেঙে কেরাটিন তৈরি করে বায়োটিন। পাশপাশি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে জরুরি যে কোলাজেন, সেই কোলাজেন তৈরি করতেও সহায়ক বায়োটিন।
দৈনিক কতটা বায়োটিন প্রয়োজন?
প্রাপ্ত বয়স্ক এক জন মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৩০-১০০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন প্রয়োজন হতে পারে।
কোন কোন খাবারে বায়োটিন আছে?
ডিম: একটি মাঝির মাপের ডিমে ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন রয়েছে। ডিমের কুসুমই হল বায়োটিনের মূল উৎস।
বাদাম: কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদাম, সূর্যমুখীর বীজে বায়োটিনের মাত্রা বেশি। ১/৪ কাপ কাঠবাদামে ১.৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন আছে। একই পরিমান সুর্যমুখীর বীজে রয়েছে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন।
রাঙা আলু: রাঙা আলুতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি বায়োটিনের পরিমাণও অনেকটাই থাকে। আধ কাপ রান্না করা রাঙা আলুতে রয়েছে ২.৪ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন।
দুগ্ধজাত খাবার: দই, চিজ়ের মতো দুগ্ধজাত পণ্যও বায়োটিন সমৃদ্ধ। এক কাপ দইয়ে রয়েছে ০.২ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন। এক কাপ দুধে রয়েছে ০.৩ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন। এক আউন্স চেডার চিজ়ে রয়েছে ০.৪ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন।
কলা: মাঝারি মাপের একটি কলায় রয়েছে ০.২ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন।
মাশরুম: ১০০ গ্রাম তাজা বাটন মাশরুমে রয়েছে ৭ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন। ১০০ গ্রাম পোর্টাবেলা মাশরুমে রয়েছে ১১.১ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন।
ত্বকে সরাসরি বায়োটিন ব্যবহার করা যায়?
বাজারে বায়োটিন পাউডার পাওয়া যায়। দই, মধু অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে নিন।