চুলে জেল্লা ফেরানোর কায়দাকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো এসে গেল, কিন্তু চুলের হাল ফিরল না! অনেকেই বলবেন, চাকরি-সংসার সামলে চুলের পিছনে সময় দেওয়ার সময় কোথায়? কিন্তু তা বললে কি হয়! বরং পুজোর শেষ বেলায় জেনে নিন, কী ভাবে চুলে জেল্লা ফেরাবেন?
১. চুলে আর্দ্রতার অভাব থাকলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। শুষ্ক চুলে কেমন যেন জট পাকিয়ে যায়। বাইরের ধুলো, রোদের তাপ, রাসায়নিকের প্রভাবে এমনটা হয়। স্নান করার সময় পরিষ্কার চুলে ঈষদুষ্ণ তেল মেখে, অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। চুল শুকোনোর পর পছন্দমতো কেশসজ্জা করে নিন। তবে ‘শাইন স্প্রে’ করতে ভুলবেন না। এতে রুক্ষ চুলে তাৎক্ষণিক ভাবে জেল্লা আনা যায়।
২. চুল নরম ও সুন্দর করতে কাজে আসে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার। এতে রয়েছে, ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি। প্রাণহীন চুলে জেল্লা ফেরানোর জন্য ভিনিগার দারুণ কাজ দেয়। শ্যাম্পুর মতো হাতে সামান্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার নিয়ে মাথায় মেখে নিন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে চকচকে।
৩. বি-টাউনের বহু নায়িকাই কিন্তু রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখেন। প্রীতি জ়িন্টা চুলের যত্নের জন্যে মাথায় তেল মালিশ করেন। তেমনই চুল ভাল রাখতে ক্ষতিকর রাসায়নিক বাদ দিয়ে ঘরোয়া উপাদানও বেছে নিতে পারেন। ডিম, দইয়ের প্যাক, মেথি, কারিপাতা, জবাফুল, নারকেল তেল, কলা এই জিনিসগুলি চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৪. চুলে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসৃত হয়। যা প্রাকৃতিক ভবে চুলকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায়। চুল ভাল রাখতে চুল আঁচড়ানো জরুরি। কিন্তু সরু দাঁড়ার ধারালো চিরুনি মাথার ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। বদলে নরম দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হবে আবার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।
৫. সারা দিন খাটাখাটনির পর গরম জলে স্নান করতে ভাল লাগে? কিন্তু জানেন কি, ত্বক ও চুলকে রুক্ষ করে তোলে গরম জলে। শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর করতে ঠান্ডা জলে স্নান করুন। প্রয়োজন ঈষদুষ্ণ জল নেওয়া যেতে পারে, তবে বেশি গরম নয়।