কান চলচ্চিত্রোৎসবের লাল গালচেয় হাঁটার আগে মেক আপে ব্রণ ঢেকেছিলেন সোনম কপূরও ছবি : সংগৃহীত।
পুজো এসে গেল। আপাতত রোজই সন্ধ্যাগুলো ব্যস্ত। হয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, নয়তো ঘুরতে যাওয়া, ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা। ভাবনা নানা সাজগোজেরও। শাড়ি-ব্লাউজ়-পোশাক-আশাক— সব দিন অনুযায়ী রেডি। এর মধ্যেই সাতসকালে ঘুম ভেঙে আয়নার সামনে গিয়ে আঁতকে উঠলেন! মুখে ব্রণ। এমনটা হবে ভাবেননি। আচমকা আগত এই ব্রণ আপনার সাজগোজের ‘প্ল্যান’ যাতে চৌপাট না করতে পারে, তার জন্য কী করবেন?
প্রথমেই বলা দরকার, চাপ দিয়ে ফাটানোর চেষ্টা মোটেই করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে! তবে মনখারাপ না করে ঝটপট কয়েকটা টোটকা জেনে নিন, তাতে ব্রণের হাত থেকে রেহাই পাবেন সহজেই।
১। বরফ: ব্রণকে সামলাতে বরফের জুড়ি নেই। ব্রণের উপরে অন্তত পাঁচ মিনিট বরফ বোলান। এতে ব্রণের লালচে ভাব কমবে। ফোলা ভাবও কমবে। তাতে তা চোখে পড়বে কম। মুখে বরফ দিলে ত্বকও মসৃণ দেখাবে।
২। রঙের পরত: ফোলা এবং লালচে ভাব কমলে প্রথমে তার উপর আঙুল বা স্পঞ্জের সাহায্যে হালকা হাতে অল্প সবুজ ‘কালার কারেক্টর’ লাগান। যে কোনও সবুজই লালচে ভাবকে সহজে কমিয়ে দেয়।
৩। ফাউন্ডেশন: হালকা এবং ভাল মানের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। অবশ্যই দেখে নেবেন, আপনার ত্বকের রঙের সঙ্গে যেন ফাউন্ডেশনের রং ভাল ভাবে মিশে যায়। হালকা হাতে স্পঞ্জের সাহায্যে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন।
৪। কনসিলার: ফাউন্ডেশন লাগানোর পরে ব্রণের উপরে এবং চারপাশে কনসিলার লাগান। যাতে উঁচু ভাবটা ত্বকের সঙ্গেই মিশে যায়।
৫। সেটিং পাউডার: শেষে সেটিং পাউডার লাগিয়ে নিলেই কাজ শেষ। আয়নায় দেখে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না, ব্রণ কোথায় ছিল।