বাড়িতেই বানান চুলের রং! ছবি: সংগৃহীত
চুল তাঁর কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা না হলেও নিদেনপক্ষে কালচে হলেই যথেষ্ট খুশি হন অনেকেই। সাদা চুল দেখলেই বাজার থেকে নানা রকম চুল কালো করার সামগ্রী কিনে আনেন। অনেকেই আবার সাদা-কালোর এই দ্বন্দ্বে পড়তে নারাজ। তাঁদের সাফ কথা— সাদা হোক বা কালো, সব চুলই ভাল! তবে যাঁরা কালো চুলই পছন্দ করেন, তাঁদের অনেক সময়ই বাজারজাত কলপ নিয়ে তৈরি হয় বিড়ম্বনা। কারণ অনেক সময়, এই রঙে থাকে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেগুলি ক্ষতি করে চুলের। তাই বাজারচলতি চুলের রঙে আপত্তি থাকলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চুলের রং। চুল ভালও হবে, কালোও হবে।
১। চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় আমলকির উপযোগিতার কথা অনেকেই জানেন। আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন চুলের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে গাঢ় হয় চুলের রং। আমলকি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তার পর ৩ চামচ উষ্ণ নারকেল তেলে ভাল করে মিশিয়ে নিন ২ চামচ আমলকি গুঁড়ো। তেল ঠান্ডা করে চুলে ও মাথায় মেখে নিন। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। একই ভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩ বার ব্যবহার করলে মিলতে পারে উপকার।
২। চুল কালো করতে কারিপাতার ব্যবহারও বেশ প্রাচীন। করিপাতায় থাকে মেলানিন। এই উপাদানটি চুল কালো রাখতে ও নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকর। একটি পাত্রে ৬ চামচ নারকেল তেল ও ১০-১২টি কারি পাতা দিয়ে গরম করতে থাকুন। যত ক্ষণ না মিশ্রণ কালচে হয়ে আসে তত ক্ষণ অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। তেলটি তৈরি হয়ে গেলে আমলকির তেলের মতোই একই ভাবে ব্যবহার করুন।
প্রতীকী ছবি ছবি: সংগৃহীত
৩। চুল কালো করতে কাজে আসতে পারে লেবুও। লেবুর ভিটামিন সি এবং ফসফরাস চুলের রঞ্জক উপাদান বা পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। ৫ চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ৫ চামচ উষ্ণ নারকেল তেল মিশিয়ে তৈরি করুন মিশ্রণ। এই মিশ্রণটিও চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দু’বার এই তেল লাগলে মিলতে পারে উপকার।
তবে মনে রাখবেন, এই সবকটিই টোটকা, কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি নয়। তা ছাড়া সবার চুল সমান নয়, তাই কোনও রকম প্রশ্ন থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।