পোশাকের কারসাজি করেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন খানিকটা। ছবি: সংগৃহীত।
চেহারা ভারী বলে অল্পবয়সিদেরও অনেক সময় বয়স্ক দেখায়। ভারী চেহারা বলে চার পাশের নানা লোকজনের কাছ থেকেই শুনতে হয় নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ। পরিবারে হোক কিংবা কর্মক্ষেত্রে, বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই। ঠাট্টার ছলে হোক বা সরাসরি, মেদবহুল চেহারা নিয়ে সুস্থ সমাজেও নানা অসুস্থ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই আছেন যাঁরা ব্যঙ্গবিদ্রুপের তোয়াক্কা করেন না। অনেকেই আবার এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে মন খারাপ করে বসেন। অনেক সময় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে থেকে যায় গলদ, সে কারণেও মোটা লাগে। কখনও কখনও পোশাকের উপর জমকালো নকশার কারণেও চেহারা ভারী দেখায়। পোশাকের কারসাজি করেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন খানিকটা। ফ্যাশনিস্তাদের জন্য রইল তেমনই কয়েকটি কৌশল।
১) চেহারা ভারীর দিকে হলে এড়িয়ে চলুন আড়াআড়ি দাগের যে কোনও পোশাক। তার চেয়ে আলমারিতে থাকুক লম্বালম্বি দাগের পোশাক। রোগা ও কমবয়সি দেখাতে চাইলে এই লম্বালম্বি স্ট্রাইপ খুবই কাজে আসবে।
২) এক রঙের পোশাক বেশি পরুন। খুব ভাল হয় যদি গাঢ় রঙের পোশাক বাছাই করেন। মনোক্রোম গাঢ় পোশাকে আপনাকে রোগা দেখাবে।
৩) শুধু ফ্যাশনের কারণেই ঠান্ডা না পড়লেও পোশাকের সঙ্গে মানানসই স্কার্ফ কিনে ফেলাটা আমাদের স্বভাব। গলায় গোল করে স্কার্ফ জড়ালে গলার লম্বাটে আকার ঢেকে তা আরও ভারিক্কি ভাব আনে।
অনেক সময় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে থেকে যায় গলদ, সে কারণেও মোটা লাগে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পোশাক বাছাইয়ের সময় কেউ ছিপছিপে দেখাতে চেয়ে আঁটসাঁট পোশাক পরেন, কেউ আবার ঢিলেঢালা পোশাকেই আস্থা রাখেন। ঢিলেঢালা পোশাক যেমন চেহারাকে ভারী করে, তেমনই আঁটসাট পোশাকে স্পষ্ট হয় শরীরের মেদ। কাজেই খুব ঢিলে বা খুব আঁটো নয়, এমন পোশাকই বাছুন।
৫) শারীরিক গঠন অনুযায়ী ঠিক মাপের অন্তর্বাস বাছাইয়ের উপরও চেহারার গড়ন অনেকটা নির্ভর করে। তাই সে ক্ষেত্রেও খুব ঢিলেঢালা বা আঁটসাঁট অন্তর্বাস এড়িয়ে সঠিক মাপ বাছুন।