চুল ঝরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেই অনুপাতে যদি চুল না গজায়, তখনই হয় মুশকিল। ছবি- সংগৃহীত
পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকলেই কম-বেশি চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে অনেকেরই দাবি, মাথায় রাসায়নিক দেওয়া সিঁদুর পরেই নাকি তাঁদের কপালের সামনের দিকে সব চুল ঝরে গিয়েছে। আবার পুরুষদের মধ্যে অনেকের চুল পড়ার কারণ নাকি ‘হেলমেট’। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুল পড়ার হাজার একটা কারণ থাকতে পারে। অনেকের আবার শারীরিক জটিলতার কারণেও কম বয়সে মাথায় টাক পড়ে যায়। যদিও প্রতি দিন কিছু সংখ্যক চুল ঝরে পড়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই বলেই মনে করেন অনেকে। কিন্তু চুল ঝরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেই অনুপাতে যদি চুল না গজায়, তখনই হয় মুশকিল। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে নামীদামি কোনও প্রসাধনীর উপর ভরসা না করে ঘরোয়া তিনটি তেলের উপর ভরসা করে দেখা যেতেই পারে।
অনেকের আবার শারীরিক জটিলতার কারণেও কম বয়সে মাথায় টাক পড়ে যায়। ছবি- সংগৃহীত
১) নারকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতা
নারকেল তেলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা চুলে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ কারি পাতা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এক কাপ খাঁটি নারকেল তেলের সঙ্গে এক মুঠো কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্নানের আধঘণ্টা আগে এই তেল মেখে নিন। পরে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২) কেশুত পাতার তেল
নতুন চুল গজানোর জন্য কেশুত পাতা খুবই কার্যকরী। আয়রন, ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ কেশুত চুলের ফলিকলগুলিতে পুষ্টি জোগায়, গোড়া থেকে চুলকে মজবুত করে তোলে। নারকেল তেলের মধ্যে একমুঠো কেশুত পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। একই ভাবে ঠান্ডা হলে মাথায় মেখে নিন। খুব ভাল হয় যদি এই তেল রাতে মেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
৩) পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার, যা মাথার ত্বকে কোলাজেন অর্থাৎ প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এই কোলাজেনই মাথায় নতুন হেয়ার ফলিকল তৈরি করে। তবে শুধু পেঁয়াজের রস মাথায় লাগালে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথায় মাখা যেতে পারে। স্নানের আধঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে, তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।