শীতকালে ত্বকের যত্নেও সমানভাবে উপকারী আখরোট। ছবি: সংগৃহীত
আখরোটের জন্ম হল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং মধ্য এশিয়ার কোনও একটি অংশে। আখরোট মূলত বাদাম জাতীয় ফল। আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখরোট থাকলে সুস্থ থাকে শরীর। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। তবে আখরোট কিন্তু শুধু শরীরের যত্ন নেয় তা নয়, এই শীতকালে ত্বকের যত্নেও সমানভাবে উপকারী আখরোট।
ত্বকের যত্নে কী ভাবে কাজ করে আখরোট?
ত্বকের অকালবার্ধক্য রোধ কর:
আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। মানসিক চাপ কমাতে ভিটামিন বি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আর মানসিক চাপ কমলে তার প্রভার পড়বে ত্বকেও। ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকের বলিরেখা রোধ কর ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে।
ছবি: সংগৃহীত
ত্বককে আর্দ্র করে:
রোজের খাদ্যতালিকায় আখরোট থাকলে ত্বকের শুষ্কভাব দ্রুত দূর হয়। রোজ আখরোট খেতে না চাইলে আখরোটের তেল তৈরি করেও মাখতে পারেন। আখরোট ত্বককে ভিতর থেকে আদ্র করে।
ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে:
আখরোটের পেস্ট করে তার সঙ্গে মধু ও অলিভ তেল মিশিয়ে সপ্তাহে এক থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
চোখের তলার কালি দূর করে:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের ঘাটতি প্রভৃতি কারণে চোখের তলায় কালি পড়ে যায়। রাত্রে শোয়ার আগে অল্প করে চোখের তলায় আখরোট তেল লাগাতে পারেন। খুব তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে চোখের তলারকালি।
চুলকে মজবুত রাখে:
পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স সমৃদ্ধ আখরোট চুলকে মজবুত রাখে। এ ছাড়া আখরোট তেল চুলে মাখলে চুল হবে মসৃণ ও কোমল।