বাড়িতেই বোটক্স ট্রিটমেন্ট করে পেয়ে যান রেখার মতো ঝকঝকে ত্বক। ছবি: সংগৃহীত।
পরিবেশজনিত দূষণ, শারীরিক নানা অসুখবিসুখের ফলে ত্বকে তারুণ্যের অভাব দেখা দেয় কম বয়সেই। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও অনেক সময় বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করা যায় না। ইদানীং তাই কৃত্রিম ভাবে মুখের বলিরেখা দূর করার জন্য অনেকেই ‘বোটক্স’ চিকিৎসা করিয়ে থাকেন। মুখের অবাঞ্ছিত দাগ, বলিরেখা দূর করতে অনুসরণ করা হয় এই পদ্ধতি। এ ছাড়াও কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতেও অনেকেই এই চিকিৎসার উপর ভরসা করেন। মূলত হলিউড-বলিউডের তারকাদের মধ্যে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হওয়ার পরই সাধারণ মানুষও ধীরে ধীরে বোটক্সের দিকে ঝুঁকেছেন। এই ট্রিটমেন্ট কিন্তু বেশ খরচসাপেক্ষ।
তবে ব্যয়বহুল বোটক্সের কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারে তিসি বীজ। তিসিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। তা ছাড়া ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড জেল। তাই সালোঁয় গিয়ে বোটক্সে খরচ করতে না চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন বোটক্স জেল।
কী ভাবে বানাবেন?
একটি পাত্রে ১ গ্লাস জল ও ২ টেবিল চামচ তিসির বীজ দিয়ে খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিনিট দশেক পরে সেই মিশ্রণটি জেলের মতো হয়ে যাবে। এ বার মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে মিশ্রণটি একেবারে ঠান্ডা করে নিন। মিশ্রণটি তার পর ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তার পর ফ্রিজ থেকে বার করে মুখে মাখুন। মিনিট ১৫ পরে ধুয়ে ফেলুন জল দিয়ে। সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার এই জেলটি ব্যবহার করতে পারেন।
সালোঁয় গিয়ে বোটক্সে খরচ করতে না চাইলে বাড়িতেই তিসি দিয়ে বানিয়ে নিন বোটক্স জেল। ছবি: শাটারস্টক।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই ফ্ল্যাক্স সিড। তিসিতে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা-ও নাকি ত্বকের জন্য ভাল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বীজ সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের টান টান ভাব হারিয়ে যায়। সেই সমস্যাও প্রাথমিক পর্যায়ে রুখে দিতে পারে।