ঘরোয়া রূপটান ব্যবহার করেও অনেক সময় ত্বকে নানা রকম সমস্যার উদ্রেক হয়। ছবি- সংগৃহীত
মনুষ্যজীবন তো প্রকৃতিরই দান। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৃতিকে যত জড়িয়ে রাখা যায়, ততই ভাল। সে জীবনবোধেই হোক বা বাহ্যিক পরিচর্চায়। আগেকার দিনে দিদিমা-ঠাকুমাদের নিদানও তেমনটাই ছিল। বিশেষত রূপচর্চার ক্ষেত্রে, অনেকে বাজারজাত পণ্য ছেড়ে তাই প্রাকৃতিক জিনিসের উপরই বেশি ভরসা করেন। বাড়িতেই বানিয়ে নেন ত্বক পরিচর্চার নানা সামগ্রী। কিন্তু ঘরোয়া রূপটান ব্যবহার করেও অনেক সময় ত্বকে নানা রকম সমস্যার উদ্রেক হয়। ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করেন বলেই যে তা থেকে কোনও রকম সমস্যা হতে পারে না, সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
চিকিৎসকদের মতে, প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা। তাই আপাতদৃষ্টিতে প্রাকৃতিক উপাদান ভাল মনে হলেও সবার ত্বকে, সব জিনিস একই রকম ভাবে কাজ করে না। এমন অনেক প্রাকৃতিক জিনিস আছে যা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এলে নানা রকম অস্বস্তি হওয়া স্বাভাবিক। রূপচর্চায় ব্যবহৃত এমন কিছু জিনিসের সন্ধান দিয়েছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
কফি এবং আখরোটের খোসা
বাড়িতে স্ক্রাব তৈরি করার সময় অনেকেই কফি বা আখরোটের খোসা ব্যবহার করেন। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের শক্ত দানাযুক্ত উপাদান ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। বিশেষত যাদের র্যাশ বা ব্রণর সমস্যা থাকে, তা আরও বেড়ে যাবে।
র্যাশ বা ব্রণর সমস্যা থাকলে দানাযুক্ত উপাদান ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। ছবি- সংগৃহীত
কাঁচা ডিম
চটজলদি জেল্লা ফেরাতে অনেকেই মুখে ডিমের সাদা অংশটি প্যাক হিসেবে ব্যবহার করেন। কাজ হয়তো খানিকটা হয়, কিন্তু ক্ষতি হয় বেশি। মুখে ব্রণ, র্যাশ, ফোড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে বেড়ে যায়।
পাতিলেবু
মুখে মাখার প্যাকই হোক বা স্ক্রাব, আমাদের প্রবণতা, সবেতেই পাতিলেবু যোগ করার। কারণ আমাদের ধারণা লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক ব্লিচ, ত্বকের যে কোনও দাগ সহজেই তুলে দিতে পারে। লেবুর অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, পাতলা ত্বকের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।