ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াই ভাল। ছবি- সংগৃহীত
দোলে রং খেলতে যাওয়ার আগে ছোট থেকেই পুরু করে সারা গায়ে তেল মাখিয়ে দিতেন মা। যাতে খেলার পর, গায়ে ওই রাসায়নিক মিশ্রিত রং বেশি ক্ষণ বসতে না পারে এবং স্নানের সঙ্গে সঙ্গে সহজেই উঠে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, অন্য কথা। গায়ে তেল মাখতে আপাত ভাবে কোনও সমস্যা না হলেও মুখের জন্য তেল কিন্তু ক্ষতিকারক হতেই পারে। তাই কোনও উদ্ভিজ্জ তেলের বদলে, ‘সেরামাইড’ যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকে খুব ভাল ভাবে মিশে যায়। যার প্রভাব ত্বকে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে থাকে। কিন্তু কোনও তেলই এত ক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না।
তবে, দিনের বেলা শুধু সেরামাইডযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিলেই হবে না। এর সঙ্গে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এক একজনের ত্বকের ধরন এক একরকম। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নেওয়াই ভাল।
কিন্তু রং খেলার পর ত্বকের জন্য কী করছেন বা করছেন না, সেই বিষয়টিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। ছবি- সংগৃহীত
খেলার পর গা থেকে রং তুলতে কী করবেন না?
রং খেলতে যাওয়ার আগে কী করা উচিত বা কী নয়, তা নিয়ে অনেকে অনেক নিদান দেন। কিন্তু রং খেলার পর কী করছেন বা করছেন না, সেই বিষয়টিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। স্নানের পর রঙের দাগ তুলতে অনেকেই অতিরিক্ত ক্ষারজাতীয় সাবান ব্যবহার করেন। এই জাতীয় সাবান একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। চিকিৎসকদের মতে, শুধু সাবান নয়, সঙ্গে শক্ত কোনও স্ক্রাবারও ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং মৃদু কোনও তরল সাবান দিয়ে স্নান করাই ভাল।