চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে ভাতের ফ্যান দারুণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করার জন্য আমরা নিয়মিত পার্লারে যাই, খরচও করি অনেক টাকা। এমন অনেক ঘরোয়া পদ্ধতিই আছে ,যেগুলি ব্যবহার করে আমরা পার্লারে না গিয়ে কিংবা নামী দামি প্রসাধনী ব্যবহার না করেও দিব্যি রূপচর্চা করতে পারি। সাধারণত ভাতের ফ্যান বা মাড় ফেলে দেওয়া হয়। রূপচর্চায় এই ফ্যান কিন্তু দারুণ উপকারী।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) দু’চামচ ভাতের ফ্যানের সঙ্গে এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে, ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
২) চার চামচ ভাতের ফ্যান, এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল, রিঠার জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। সারা দিনে দু’তিন বার এটি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটিও খুব ভাল ফেসওয়াশ এর কাজ করে।
প্রতীকী ছবি
৩) চুলের যত্ন নিতেও ভাতের ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। ভাতের ফ্যান, তার মধ্যে একটি গোটা লেবুর রস মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খুব ভাল করে মালিশ করুন। বেশ কিছু ক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষতা দূর করতে এই উপায় মেনে চলতে পারেন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এ ছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি।
৪) ঘরোয়া উপায়ে চুল রং করতে চান? এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। ভাতের মাড়ের সঙ্গে খানিকটা কফির গুঁড়ো মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এ বার সেই প্যাক চুলে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক পরে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলে হালকা বাদামী রঙ পেতে পারেন।