ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম কি আসলে ক্ষতি করছে? ছবি: সংগৃহীত
ফরসা হওয়ার ক্রিম। কয়ের বছর আগেও এই জাতীয় প্রসাধনী দোকানে বিপুল পরিমাণে বিক্রি হত। নানা মহলে প্রতিবাদের ফলে এমন ক্রিম বিক্রি হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার বদলে বাজারে এসেছে নতুন এক ধরনের প্রসাধনী। যাদের বলা হয়, ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম।
আগে যেগুলি ফরসা হওয়ার ক্রিম বলে বিক্রি হত, তার অনেকগুলিই এখন ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম হিসাবে বিক্রি হয়। কিন্তু এই প্রসাধনীগুলি ত্বকের উপর কেমন প্রভাব ফেলে? ত্বক উজ্জ্বল করার নামে এগুলি বড় বিপদ ডেকে আনে কি?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রথমেই বুঝতে হবে, ত্বকের রং কীসের উপর নির্ভর করে।
কার ত্বকের রং কেমন হবে, তা নির্ভর করে মেলানিনের উপর। যাঁর ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ যত কম, তাঁর ত্বকের রং তত হাল্কা বা ফরসার দিকে। ফরসা হওয়ার ক্রিম বা ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম বলে বাজারে যেগুলি বিক্রি হয়, সেগুলি এই মেলানিনকেই নষ্ট করে। ফলে ত্বকের রং বদলাতে থাকে।
কিন্তু এটি শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে? চিকিৎসকরা বলছেন, মেলানিন শুধুমাত্র ত্বকের রঙের উপরই প্রভাব ফেলে না, এটি ত্বককে ক্ষতির হাত থেকেও বাঁচায়। যাঁদের ত্বক যত বেশি কালো, তাঁদের ত্বক তত বেশি ভালও। অর্থাৎ তাঁদের ত্বক তত বেশি নিরাপদ। সাধারণত শ্বেতাঙ্গদের মধ্যেই তাই ত্বকের ক্যানসারের পরিমাণ অনেক বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ত্বকের ক্যানসার বিরল। শুধু তাই নয়, ত্বকের রং কালো হলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা কমে যায়।
বাজার চলতি ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম এখানেই ক্ষতি করে। এই ধরনের ক্রিম ব্যবহারের ফলে মেলানিনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে বেড়ে যায় ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা। যাঁরা যে ভৌগলিক এলাকায় বাস করেন, তাঁদের ত্বক সেই এলাকার জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। আর এই জাতীয় ক্রিম সেই ভারসাম্যই নষ্ট করে দেয়।
ফলে এমন ক্রিম ব্যবহার করার আগে সাবধান হওয়া দরকার। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রসাধনী কেনা উচিত।