নিমের গুণেই বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় যেমন ত্বক এবং চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে, তেমনই নানা রকম রোগ-ব্যাধি-সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পেটের গন্ডগোল, ত্বকে সংক্রমণ, চুলে খুশকি— নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকে বর্ষাকালে। তবে এ সব এড়াতে আপনার সহায় নিমপাতা। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিবায়োটিক গুণ ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে চুল এবং ত্বককে রক্ষা করে। রান্নাঘরে নিমপাতা থাকলে অনেক সমস্যা আসান হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন কী ভাবে।
নিমপাতার জল তৈরি করতে গেলে কী করতে হবে?
১) প্রথমে গ্যাসে জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন।
২) তার পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে জলে দিয়ে পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে দিন।
৩) ওই অবস্থায় রেখে দিন গোটা রাত।
৪) পরের দিন জল থেকে পাতা ছেঁকে নিন।
৫) এ বার ওই জল চুল এবং মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের জলেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই জল।
৬) তবে মনে রাখবেন, জলের মধ্যে পাতা কিন্তু ফোটানো যাবে না।
বর্ষায় র্যাশ, বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ, চামড়ায় খোসা ওঠা বা চুলকানির সমস্যা থাকলে নিমের জল দারুণ ভাবে কাজ করে। মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত যাবতীয় সমস্যা দূর করে এই নিমপাতার জল। তবে নিমপাতা নারকেল বা তিল তেলের মধ্যে ফুটিয়ে মাথায় মাখলেও একই রকম উপকার মিলবে।
কেবল গরমেই নয় বর্ষাকালের ভ্যাপসা আবহাওয়াতেও অনেকের গায়ে দুর্গন্ধ হয়। স্নানের পর নিম জল সারা শরীরে নিম জল মেখে নিলে গায়ে দুর্গন্ধের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।