আপনার ভুলেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, ঘুমের অভাব, ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার বংশগত কারণ, যত্নের অভাব বা যে কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে চুল উঠে টাক পড়তে শুরু করে। যা নিয়ে অনেকের মধ্যেই হীনম্মন্যতা জন্ম নেয়। অবসাদে ভুগতে থাকেন অনেকে। অনেক ক্ষেত্রেই আবার চুল ধোয়ার সময়ে কিছু ভুলের কারণেও চুল পড়তে শুরু করে। শুনতে অবাক লাগলেও অজান্তে আপনি নিজেই কিন্তু চুলের ক্ষতি করে ফেলছেন। জেনে নিন, কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন।
১) বন্ধুর চুলে কোনও শ্যাম্পু ভাল কাজ করছে বলেই আপনিও কিনে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। বেশির ভাগ সময়ই শ্যাম্পু কেনার সময় আমরা বিশেষ ভাবি না। শ্যাম্পু কেনার আগে নিজের চুলের ধরন, কী সমস্যা রয়েছে, তার কী প্রয়োজন— এই বিষয়গুলি জানা ভীষণ জরুরি। এই বিষয়গুলি ভাল করে জেনেই উপযুক্ত শ্যাম্পু কিনুন।
২) বাজারচলতি অধিকাংশ শ্যাম্পুর মধ্যেই ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে। শ্যাম্পু কেনার সময় বোতলের গায়ে লেখা কম্পোজিশন দেখে নিন। হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভাল। বিশেষ করে যদি চুলে সমস্যা থাকে।
৩) চুলের গোড়া থেকে যে তেল ক্ষরণ হয়, তা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘন ঘন চুল ধুলে চুলের গোড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দু’-তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভাল। সারা রাত চুলে তেল মাখিয়ে রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করেন অনেকে। তবে চুল পড়ার সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের জন্য শ্যাম্পু করার আধ ঘণ্টা আগে চুলে তেল মালিশ করে চুল ধুয়ে ফেলাই ভাল।
৪) শ্যাম্পুর আসল কাজ মাথার তালু পরিষ্কার করা। শ্যাম্পু ধোয়ার সময় খুব সময় নিয়ে কাজটি করতে হবে। শ্যাম্পু ভাল করে না ধুলে চুলে চিটচিটে ভাব থেকেই যাবে। চুলের ময়লাগুলি তালুতে জমতে শুরু করবে, ফলে চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
৫) গরম জলে চুল ধোয়ার অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাস অবিলম্বে বন্ধ করুন। গরম জলে চুল ধুলে চুল পড়ার সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।