চুল ভাল রাখতে কত চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। ছবি: সংগৃহীত।
চুল ভাল রাখতে কত চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা, চুলের যত্নে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সে দিকে সদা নজর অনেকেরই। এত কিছু করে তবুও অনেকেই চুলের নানা সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন। চুল ঝরা, মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, খুশকির মতো নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করেও যদি চুলের হাল এমন হয়, তা হলে চিন্তিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তবে অযথা চিন্তা না করে বরং কেশচর্চায় কোনও ভুল হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
কোন অভ্যাসে ঝরছে চুল? ছবি: সংগৃহীত।
কন্ডিশনার ব্যবহার না করা
চুল পরিষ্কার রাখতে রোজ শ্যাম্পু তো করছেন। কিন্তু কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন কি? তা যদি না করেন, তা হলে সেই ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। নিয়ম করে কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। কন্ডিশনার চুল মসৃণ এবং নরম রাখে।
চুলে চিরুনি না দেওয়া
সারা দিন পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরতেই ঘুমে দু’চোখ জড়িয়ে আসে। চুল না আঁচড়েই ঘুমিয়ে প়ড়েন। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। চুল যত বার আঁচড়াবেন, ততই মাথার ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি থেকে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন হবে। এতে চুল বাড়বে দ্রুত। তবে প্রয়োজনের বেশি চুল না আঁচড়ানোই ভাল। এতে আবার চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়।
ভিজে চুলে ঘুমোনো
অনেকেই রাতে শ্যাম্পু করেন। শ্যাম্পু করা মানেই চুল শুকোতে দেরি হওয়া। অনেক সময়ে ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিলেও গোড়া ভিজে থাকে। শুকিয়ে গিয়েছে ভেবে অনেকে ভেজা চুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। আর সেখান থেকেই চুল ঝরা শুরু হয়। তাই রাতে শ্যাম্পু না করাই ভাল। যদি করেন, তবে ভাল করে মুছে নেওয়া জরুরি।