কেউ শরীরের সঙ্গে লাগোয়া জিন্স পরতে পছন্দ করেন, কারও আবার পছন্দ ঢিলেঢালা জিন্স। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস হোক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যাওয়া, তরুণ-তরুণীদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় এক নম্বরে থাকে জিন্স। কেউ আবার শরীরের সঙ্গে লাগোয়া জিন্স পরতে পছন্দ করেন, কারও আবার পছন্দ ঢিলেঢালা জিন্স। মলে গিয়ে জিন্স পরতে গিয়ে যদি দেখেন, ট্রায়াল রুমের বাইরে লম্বা লাইন, তখন জিন্স কেনার ইচ্ছাই চলে যায়। তবে কয়েকটি সহজ টোটকা জানা থাকলে, না পরেও বুঝে নেওয়া যেতে পারে, জিন্স মাপ মতো হবে কি না। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) জিন্সটির বোতাম লাগিয়ে কোমরের অংশটি ধরে সামনে কিংবা পিছন থেকে হারের মতো করে গলায় পেঁচিয়ে নিন। যদি প্যান্টের কোমরের দুই প্রান্ত স্পর্শ করে, তবে বুঝবেন কোমরের মাপ ঠিকঠাক রয়েছে। তবে শুধু সাধারণ জিন্সের ক্ষেত্রেই এই টোটকা প্রযোজ্য। ‘লো’ অথবা ‘হাই ওয়েস্ট’ জিন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এই টোটকা।
যেই জিন্সটি কিনবেন তার মাপ লম্বায় ঠিকঠাক কি না বুঝতে, প্যান্টটির দু’পায়ের শেষ প্রান্ত দুই হাতে ধরে ডানা মেলার ভঙ্গিতে হাত ছড়িয়ে দিন। ছবি: সংগৃহীত।
২) হাত মুঠো করুন, তার পর দেখুন কনুই থেকে মুঠো পর্যন্ত প্যান্টের কোমরে গলছে কি না। একদম মাপে মাপে মিলে গেলে বুঝবেন কোমরের মাপ মতো হয়েছে প্যান্ট।
৩) নিতম্বের অংশটি ঠিকঠাক হবে কি না বুঝতে, মেপে দেখুন আপনার দুই কাঁধের দৈর্ঘ্য দিয়ে। সাধারণত কাঁধের দুই প্রান্তের দূরত্ব নিতম্বের পরিধির সমান হয়। এই ভাবেও মিলিয়ে নিতে পারেন জিন্সের মাপ।
৪) যেই জিন্সটি কিনবেন তার মাপ লম্বায় ঠিকঠাক কি না বুঝতে, প্যান্টটির দু’পায়ের শেষ প্রান্ত দুই হাতে ধরে ডানা মেলার ভঙ্গিতে হাত ছড়িয়ে দিন। প্যান্টের মধ্য বিন্দু যদি থুতনির ঠিক নীচে থাকে, তবে বুঝবেন দৈর্ঘ্য একেবারে ঠিক আছে।
৫) গোড়ালির দিকে ফিটেড প্যান্ট পরতে চাইলে জিন্সের মধ্যে হাত মুঠো করে ভরে দিন। যদি সহজেই ঢুকে যায়, তবে বুঝতে হবে পা-ও ঢুকে যাবে সহজে।