টাকের দাওয়াই লুকিয়ে হেঁশেলেই। ছবি: সংগৃহীত।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, বারো মাসই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন কেউ কেউ। গরমে ঘামের কারণে সমস্যা বেড়ে যায়। চুল উঠে টাক পড়তে শুরু করলে অনেকেই মনমরা হয়ে পড়েন অনেকেই। অবশ্য চুলের সমস্যা তো একটা নয়। চুল বড় না হওয়া, খুশকি, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়া— এমন হাজার সমস্যা রয়েছে চুল নিয়ে। একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান করতে রোজ রোজ সালোঁয় যাওয়া সম্ভব নয়। গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা খরচ না করে ভরসা রাখতে পারেন মেথির উপর। ভিটামিন এ, বি, সি, কে, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ফসফেট, ফলিক অ্যাসিড এবং ফ্ল্যাভনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মেথি চুলের কোন কোন উপকারে লাগে?
ত্বকের মতো চুল ভাল রাখতে গেলেও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। মেথির মধ্যে রয়েছে লেসিথিন নামক একটি উপাদান, যা চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কমায়। মেথির মধ্যে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা খুশকির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি বা র্যাশের সমস্যা হলেও তা কমিয়ে দিতে পারে মেথি। মেথির প্রদাহনাশক গুণ সে কাজেও সাহায্য করে।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন মেথি?
১) মেথির তেল
১ কাপ নারকেল তেলে ১ টেবিল চামচ মেথিদানা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মেথির রং লালচে হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা করে ছেঁকে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন মেথির তেল। সপ্তাহে তিন দিন মাথায় লাগান এই তেল।
২) মেথি দিয়ে তৈরি মাস্ক
আগের রাতে ১-২ টেবিল চামচ মেথি জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিন। এর সঙ্গে মেশাতে পারেন ১ টেবিল চামচ লেবুর রস। ভাল করে মিশিয়ে মাথায় মেখে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর হালকা গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
৩) মেথি ভেজানো জল
২-৩ টেবিল চামচ মেথি দানা ১ লিটার জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন চুলে শ্যাম্পু করার পর, মেথি ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের জন্য এই টোটকা করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।