অকালবার্ধক্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। ছবি: সংগৃহীত
পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণ, পরিবর্তিত জীবনধারার প্রভাব পড়ে ত্বকে। কম বয়সেই ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। ফলে চেহারায় না চাইতেও এসে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ। ত্বকে বলিরেখা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, পেশির ক্ষয়, নিস্তেজ ত্বক এবং ক্লান্তি বার্ধক্যের পূর্ব লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি দেখা দিচ্ছে মানেই শঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। বার্ধক্য অনিবার্য। তবে অকালবার্ধক্য একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। এর জন্য খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল।
অকাল বার্ধক্যে প্রতিরোধ করতে রোজের খাদ্যতালিকায় কী কী খাবার রাখবেন?
হলুদ
হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক যৌগ। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল সচল রাখে। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বকের চামড়া টানটান রাখতেও সহায়তা করে।
গ্রিন টি
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে গ্রিন টি-এর জুড়ি মেলা ভার। রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ শরীরের বাইরে বার করে দেয়। গ্রিন টি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দারুণ সাহায্য করে। রোজ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আঙুর
এই ফলে রয়েছে রেসভেরাট্রল নামক উপাদান। এটি হল একটি পলিফেনল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা হজমে সাহায্য করে। শরীরের যাবতীয় সুস্থতার ভিত্তি নির্ভর করে বিপাক ক্রিয়ার উপর। চিনাবাদাম, পেস্তা, আঙুর, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি, কোকো, ডার্ক চকোলেটেও এই উপাদান রয়েছে। রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই খাবারগুলিও।
টম্যাটো
টম্যাটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামক উপাদান। যা ত্বকের প্রতিটি কোষে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করতেও সাহায্য করে। টম্যাটো ছাড়াও তরমুজও লাইকোপিনের ভাল উৎস। ত্বকে বয়সের ছাপ আটকাতে টম্যাটো কিন্তু হতে পারে অন্যতম অস্ত্র।