বাইরের পরিচর্যার পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে খেতে হবে বেশ কিছু খাবারও। প্রতীকী ছবি।
চুলে চিরুনি চালালেই উঠে আসছে গোছা গোছা চুল! হাজার চেষ্টা করেও লম্বা হচ্ছে না কেশগুচ্ছ! অত্যধিক দূষণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, সঠিক যত্নের অভাব— এমন বেশ কিছু কারণে চুল পড়ার সমস্যা যেন বেড়েই চলেছে। বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে সাময়িক উপকার মিললেও এর দীর্ঘস্থায়ী কোনও সুফল নেই। চুল পড়ার আরও একটি কারণ হল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। বাইরের পরিচর্যার পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে খেতে হবে বেশ কিছু খাবারও। যেগুলি জেল্লা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।
আমলকি
চুলের পুষ্টিতে আমলকির ব্যবহার নতুন নয়, কিন্তু সরাসরি চুলে লাগানোর পাশাপাশি আমলকি খেলেও মিলতে পারে উপকার। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা কোলাজেন গঠন করতে সহায়তা করে। এই কোলাজেন চুলের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ভাল থাকে মাথার ত্বক। তা ছাড়া, আমলকি খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও কাজে আসে।
চুল পড়ার সমস্যা যেন বেড়েই চলেছে। প্রতীকী ছবি।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে থাকে ভিটামিন এ, ই এবং সি। এই ভিটামিনগুলি চুলের বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়াম চুলের ফলিকল ভাল রাখে। ফলে কমে চুল পড়ার সমস্যাও। রোজ চার-পাঁচটি কাঠবাদাম বা আমন্ড খেতে পারেন।
মেথি ভেজানো জল
মেথি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-সমৃদ্ধ। পাশাপাশি, মেথিতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম ও আয়রন। এই সব ক’টি উপাদানই চুলের গোড়া ভাল রাখতে সহায়তা করে। সপ্তাহে দিন দুয়েক মেথি ভিজিয়ে রাখা জল খেলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে। এক চামচ মেথিদানা এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে পান করতে হবে সেই জল।