—প্রতীকী ছবি।
বর্ষাকাল মানেই সারা মুখে ব্রণর আবির্ভাব। নামীদামি সংস্থার বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা, কোনও কিছু ব্যবহার করেই যেন ব্রণর হাত থেকে নিষ্কৃতী পাওয়া যায় না। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে মরসুমে এই সমস্যা যেন আরও বাড়তে থাকে। কী করলে ব্রণ কমানো যাবে, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। চর্মরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে শুধু বাইরে থেকে পরিচর্যা করলে চলবে না, যত্ন নিতে হবে ভিতর থেকেও। ব্রণ হওয়ার নেপথ্যে খাদ্যাভ্যাসও একটা কারণ। এ মরসুমে ব্রণর সমস্যা থেকে দূরে থাকতে রোজের ডায়েটে কিছু খাবার রাখা জরুরি। সেগুলি কী?
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার
ত্বকের যত্নে জিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে র্যাশ, ব্রণর ঝুঁকি কমাতে জিঙ্কের ভূমিকা অপরিসীম। শরীরে জিঙ্কের মাত্রা যদি পর্যাপ্ত থাকে, তা হলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। তাই বর্ষায় জিঙ্কে সমৃদ্ধ খাবার যেমন কুমড়োর বীজ, ছোলা, ডাল, বাদাম, গোটা শস্য, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খান।ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ খাবারওমেগা ৩ শুধু শরীরের জন্য নয়, ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এই উপাদান ত্বকের সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ত্বক ভিতর থেকে টানটান থাকে। তেলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্রণর ঝুঁকি অনেক কম থাকে। বেশ কিছু সামুদ্রিক মাছে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়াও কয়েকটি সব্জি, চিয়া বীজ, আখরোটেও ওমেগা ৩ থাকে।
প্রোবায়োটিকওজন কমাতে হোক কিংবা ব্রণ আটকাতে, প্রোবায়োটিক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রোবায়োটিক জরুরি। পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ব্রণও কম হয়। দই, দুধ, পনিরের মতো প্রোবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এতে ব্রণও কম হবে, সেই সঙ্গে ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলও হবে না।