চুল পড়ে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস। প্রতীকী ছবি।
ঘন ঘন শ্যাম্পু আর প্রসাধনী ব্যবহার চুলের যত্নের শেষ কথা নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, চুলের ঘনত্ব নির্ভর করে রোজের ডায়েটের উপর। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, চুল পড়ে যাওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস। চুলের সঙ্গে খাবারের যে কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে, তা অনেকেরই জানা নেই। সে কারণেই চুলের হাল খারাপ হয়ে যাওয়ার আসল কারণ অনেকেই ধরতে পারেন না। কোন খাবারগুলি চুলের জন্য একেবারেই ভাল নয়?
চিনিজাতীয় খাবার
চিনি ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ব্রণ থেকে র্যাশ— ত্বকের অধিকাংশ সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে চিনি। ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যেও একই রকম ভাবে ক্ষতিকর। বেশি চিনি খেলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। তার প্রভাব পড়ে চুলের উপরেও।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
সসেজ, সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের স্বাস্থ্যকর উপাদানের লেশমাত্র থাকে না। ফলে এই ধরনের খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। ফ্যাট, চিনির মতো উপাদান এতে বেশি পরিমাণে থাকে। ফলে এই খাবারগুলি বেশি খেলে চুলের গোড়া দুর্বল হতে থাকে।
নুন
অত্যধিক নুন খেলে উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ বাড়তে পারে। নুনে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। সোডিয়াম শরীরের জলের ঘাটতি তৈরি করে। জলের অভাবে ঝরতে থাকে চুল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নুন খেলেও পরিমাণে সমতা বজায় রাখা জরুরি। সেই সঙ্গে জল খেতে হবে বেশি করে।
অ্যালকোহল
অত্যধিক পরিমাণে অ্যালকোহল পান শরীরে জলের শূন্যস্থান তৈরি করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না থাকলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। জলের অভাবে শরীর ভিটামিন, মিনারেলসের ঘাটতি তৈরি হয়। চুল ঝরার সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকেই।
কফি
কফি খেলে শরীর চাঙ্গা এবং চনমনে থাকে। তবে কফিতে থাকা ক্যাফিন অত্যধিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে চুলে তার প্রভাব পড়তে পারে। ক্যাফিন শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। চুল ভাল রাখতে জলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলের অভাবে চুল ঝরতে শুরু করে।