তাদের গরমকালে পোশাকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রবিবারও তাপপ্রবাহ হবে না। তবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না শহরে। রবিবারও ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার পারদ, সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই এসেছে হাওয়া অফিসের তরফে। এই গরমে চিকিৎসকরা বার বার সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বেশি করে জল খাওয়া, খুব প্রয়োজন না হলে রোদে না বেরোনোর পাশাপাশি পোশাকের দিকেও বাড়তি নজর রাখার কথা বলছেন তাঁরা।
একে প্যাচপেচে গরম, তার উপর বৃষ্টির দেখা নেই। ঘাম যেন গা থেকে শুকোতেই চায় না। পোশাক ঘামে ভিজে দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনই শরীরে ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। যাদের অফিস কিংবা কলেজের জন্য রোজ বেরোতেই হয়, তাদের গরমকালে পোশাকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। প্রতি দিন বেরোনোর সময়ে এই দিকগুলি খেয়াল রাখুন।
১) যাদের খুব বেশি ঘামার প্রবণতা থাকে, তাদের অনেক সময়ই জামা ঘামে ভিজে ওঠে। বগল, পিঠ, বুকে এ রকম ঘামে ভেজা ছাপ খুবই অস্বস্তিকর। যে রঙের পোশাকে ঘামের দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেই সব রং এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সাদা, ধূসর বা নীলের মতো হালকা রঙের পোশাকেও ঘামের দাগ স্পষ্ট হয় না। পরেও আরাম লাগে। উজ্জ্বল রঙের পোশাকে ঘামের দাগ প্রকট হয়ে ওঠে। যে কোনও উজ্জ্বল রং গরমকালে দিনের বেলা এড়িয়ে চলুন।
২) এক রঙের পোশাকের বদলে কোনও প্রিন্ট বা প্যাটার্ন থাকলে ঘামের দাগ ঢাকতে সুবিধা হবে। এক রঙের পোশাকে ঘামের দাগ যতটা প্রকট হয়ে ওঠে, চেক, স্ট্রাইপ বা কোনও প্রিন্ট থাকলে ততটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় না।
৩) গরমকালে পোশাকের ভিতরে অনেকেই ইনার পরেন না। এতে কিন্তু গরম বেশি লাগে। পুরুষ-মহিলা উভয়েই অবশ্যই পোশাকের ভিতরে সুতির ইনার পরুন। পোশাকের স্তর থাকলে এয়ার পকেট তৈরি হয়। ফলে ঘাম কম হয়। ঘামে ভিজে পোশাক নষ্টও হবে কম।
পোশাক ঘামে ভিজে দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনই শরীরে ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) গরমে স্পোর্টস টি-শার্ট পরেন অনেকেই। এই সব টি-শার্টে এমন ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়, যা খুব সহজে ঘাম ত্বকের উপরিভাগে নিয়ে আসে। ফলে ঘাম শরীরে বসে না। গরমে এই ধরনের পোশাক পরতেই পারেন।
৫) গরমে শুধুমাত্র বগল থেকেই ঘাম হয় না। হাত, পা-ও ঘামে। এমন জুতো পরবেন না যাতে পা ঘামে। রোদে ট্যান হওয়ার ভয়ে অনেকেই এই সময় পা ঢাকা জুতো পরাই শ্রেয়। এমন জুতো পরুন যাতে পায়ে হাওয়া লাগে। পা বন্ধ থাকলে গরমও বেশি লাগবে। একান্তই যদি মোজা পরতে হয়, তা হলে সুতির মোজা পরুন। নাইলনের মোজা একেবারেই চলবে না।
৬) অন্তর্বাসের ক্ষেত্রেও সুতির অন্তর্বাস বাছাই করুন। সিন্থেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস এড়িয়ে চলুন।