সারা দিন শাড়ি পরেও কোনও রকম ঝক্কি হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
রাত পোহালেই নববর্ষ! বাজার ঘুরলেই চোখে পড়ছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার ছবি। কেউ পুজোর জন্য দশকর্মার জিনিসগুলি গুছিয়ে কিনছেন, কেউ আবার শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না কিনতে গড়িয়াহাট কিংবা হাতিবাগানের বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। নববর্ষ মানেই অনেকের কাছে সাবেকি পোশাক পরার চল। ইনস্টাগ্রামে রিল তৈরির নেশায় হোক কিংবা নেহাতই শখে, তরুণীরা ইদানীং উৎসব-পার্বণে শাড়ি পড়ার দিকেই ঝুঁকছেন বেশি। কেউ বেছে নিচ্ছেন মল কটন, কেউ আবার সিল্ক, কেউ পছন্দ করছেন অরগ্যানজ়া। তবে শাড়ি পরার সময়ে নানা ঝক্কি সামলাতে হয় অনেককেই। পয়লা বৈশাখের দিন সারা দিন শাড়ি পরে ঘুরতে হলে জানতে হবে হবে সঠিক কায়দা। জেনে নিন, কী ভাবে শাড়ি পরলে তা আর ঝক্কির মনে হবে না।
১) সেফটি পিনের জন্য অনেক সময় দামি শাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর আক্ষেপের শেষ থাকে না। শাড়ির আঁচল হোক কিংবা প্লিটে, সেফটি পিন লাগানোর সময়ে কাগজের ছোট টুকরো, চুলের কাঁটায় লাগানো মুক্ত কিংবা বোতাম সেফটি পিনে ঢুকিয়ে নিলেই হবে সমস্যার সমাধান, শাড়ি মোটেও ছিঁড়বে না।
২) শাড়িতে যত কুঁচি পড়বে, দেখতে ততই ভাল লাগে। এ ক্ষেত্রে শাড়িটি প্রথম কোথায় গুঁজছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। নাভি থেকে ডান দিকে সরিয়ে শাড়ির কোনা গুঁজতে শুরু করুন। তা হলেই দেখবেন, বেশি কুঁচি পড়বে।
৩) নববর্ষে পরবেন বলে জমকালো কারুকাজ করা জুতো কিনেছেন? এতে কিন্তু হাঁটার সময়ে তাতে শাড়ি আটকে ছিঁড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে জুতোর উপর মোমের ফোঁটা ফেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তা হলে জুতোর চাকচিক্যও বাড়বে আর জুতোর উপরে থাকা পাথরের তীক্ষ্ণতাও কমবে। শাড়ির সঙ্গে হিল পরলে পরার আগেই জুতোটি পরে নিন। তা হলে শাড়ি উঁচু লাগবে না।
৪) অনেকেই মোটা লাগবে ভেবে শাড়ি পরেন না। তেমনটা না চাইলে গায়ের সঙ্গে লেগে থাকবে, এমন শাড়ি বাছাই করুন। প্লিট করে শাড়ি পড়ার সময় খেয়াল রাখুন যেন প্লিট কাঁধের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সরু প্লিট করে শাড়ি পরলে দেখতে রোগা লাগে। প্লিট করতে হলে চওড়া পাড়ের শাড়ি এড়িয়ে চলাই ভাল। শাড়ির সঙ্গে সায়া না পরে শেপওয়্যার পরতে পারেন। এর ফলে শাড়ি শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে, দেখতেও রোগা লাগে।
৫) অনেকের ধারণা, শাড়ি পরলে বেঁটে লাগে। প্লিট করে শাড়ি পরার সময়ে আঁচলের দৈর্ঘ্য যেন হাঁটুর নীচে থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আঁচল লম্বা হলে দেখতে বেশ লম্বা লাগবে।