কেবল সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই হল না, সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: শাটারস্টক।
অতিরিক্ত দূষণে ত্বকের বারোটা বাজছে। তার উপর যদি সানস্ক্রিন না লাগান, তা হলে রোদে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে। সানস্ক্রিন মাখলে ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। তাই অনেকে সানস্ক্রিন না মেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। এই ভুল কখনওই করবেন না।
কেবল সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই হল না, সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন ত্বকের জন্য কেমন সানস্ক্রিন জরুরি, তা আমরা অনেকেই জানি না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ত্বক ভাল রাখতে, শরীরের খোলা অংশের ত্বককে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন লোশন অপরিহার্য। সানস্ক্রিন মাখার যেমন বেশ কিছু নিয়ম আছে তেমনই সানস্ক্রিন কেনার আগেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। কোন ধরনের সানস্ক্রিন আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত, রইল সেই হদিস।
নিজের জন্য কেমন সানস্ক্রিন কিনবেন? ছবি: শাটারস্টক।
১) আপনার ত্বক কি শুষ্ক প্রকৃতির? এমন ত্বকের ক্ষেত্রে ‘ময়শ্চারাইজিং’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন। এই ধরনের সানস্ক্রিন ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২) ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে এমনিতেই বেশি ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে ‘সোয়েট ফ্রি’ কিংবা ‘ম্যাটিফাইং’ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষাও পাবে, আর ঘামও হবে না।
৩) যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল যে কোনও প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা থাকলে, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সমস্যাও বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত, সুগন্ধি যুক্ত সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলুন।
৪) সংবেদনশীল ত্বকে প্যারাবেন বা অক্সিবেনজোন যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড বা জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
৫) অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ প্রয়োজন। গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল হলে, তাঁরা এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।