ছবি: প্রতীকী
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সব ঋতুতেই চুলের নানা সমস্যা লেগে থাকে। কখনও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবার কখনও অতিরিক্ত তেল চুলের গোড়ায় ছোট ছোট ব্রণের মতো জিনিসের জন্ম দেয়। সেখান থেকে অসম্ভব চুলকানিও হয়। অসাবধানে নখ লেগে চুল ঝরে পড়তে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। সঙ্গে দরকার ত্বকের পুষ্টিও। ঘরোয়া কিছু প্যাক ব্যবহার করলে সব দিকেই নজর দেওয়া সম্ভব হবে।
১) কলা এবং মধু
পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং ই-র গুণে সমৃদ্ধ কলা শুধু শরীরের নয়, চুলের জন্যও সমান উপকারী। চুলের গোড়া মজবুত করতে, চুলের জেল্লা ধরে রাখতে এই ফলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে মধু। শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য এই কলা এবং মধুর মিশ্রণ জাদুর মতো কাজ করে। সপ্তাহে দু’দিন এই মিশ্রণ মাখলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে।
২) ডিম এবং অলিভ অয়েল
চুল ভাল রাখতে প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়াও নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই ডিম চুল ঝরে পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনে। এর সঙ্গে যদি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর অলিভ অয়েল মেশে, তা হলে মাথার ত্বকও পুষ্টি পায়।
৩) নারকেল তেল এবং অ্যালো ভেরা
চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে দারুণ ভাবে কাজ করে নারকেল তেল। নারকেল তেলে রয়েছে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাট, প্রোটিন এবং ভিটামিন। যা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বিভিন্ন যৌগে ভরপুর অ্যালো ভেরা, মাথার ত্বকে সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।
ছবি: প্রতীকী
৪) অ্যাভোকাডো এবং দই
ভিটামিন বি, ই, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর অ্যাভোকাডো চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড, শুষ্ক চুলের যত্নে দারুণ ভাবে কাজ করে। সপ্তাহে এক বার এই মিশ্রণ চুলে মাখলে চুল ঘনও হবে এবং জেল্লাও বজায় থাকবে।
৫) মেথিবাটা
চুল পড়া, খুশকি এবং মাথার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে প্রাচীন কাল থেকেই মেথি ব্যবহারের চল রয়েছে। মেথিদানায় থাকা প্রোটিন, লেসিথিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। চুলের ফলিকলগুলিকেও মজবুত করে তোলে। দু’-তিন টেবিল চামচ মেথিদানা, সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে তা বেটে মাথায় মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।