মূলত প্রাণীজ প্রটিন কোলাজেনের ভাল উৎস। ছবি: সংগৃহীত
ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় 'কোলাজেন' নামক প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম।ত্বকের জেল্লা বাড়ানো থেকে চুলের গোড়া মজবুত করা, সবেতেই প্রয়োজন হয় এই প্রোটিনের। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি শুরু হয়। তা ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ, ধূমপানের অভ্যাস শরীরে এই প্রোটিন উৎপাদনের হার আরও কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, অকালেই চেহারায় বয়েসের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায়, ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়।
খাদ্যাভাসে সামান্য বদল আনলেই শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। ত্বক ও চুলের জেল্লা ধরে রাখতে রাখতে কী খাবেন ভাবছেন? মূলত প্রাণীজ প্রটিন কোলাজেনের ভাল উৎস। এমন কিছু শাকসব্জিও আছে, যা শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। রইল তার হদিশ।
মুরগির মাংস: অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগির মাংসে অ্যামিনো অ্যাসিড ভাল মাত্রায় থাকে। ফলে মিয়মিত খাবার পাতে চিকেন রাখলে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।
মাছ: মাছেও ভাল মাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। তা ছাড়া মাছে জিঙ্ক ও কপারের মতো খনিজ পদার্থও থাকে। শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে এই প্রকার খনিজের প্রয়োজন রয়েছে। এগুলি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাধা দেয়। এর বাইরে মাছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও থাকে, ত্বকের জেল্লা বাড়তে যা দারুণ উপকারী।
প্রতীকী ছবি
লেবুজাতীয় ফল: এই প্রকার ফলে ভাল মাত্রায় ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা প্রত্যক্ষ ভাবে শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়ায়। লেবুজাতীয় ফলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে নিয়মিত পাতে রাখতেই হবে লেবুজাতীয় ফল।
সবুজ শাকসব্জি: শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ থাকে। তাই ত্বক ভাল রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে পালং, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো শাকসব্জি।
বেলপেপার: লাল, হলুদ, সবুজ বেলপেপার ভিটামিন সি, বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও কোলাজেনের দারুণ উৎস। তাই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে চাইলে খেতেই হবে বেলপেপার।