কলার খোসাও ফেলার নয়! ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা পড়তেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভোগাচ্ছে। তাই নিয়ম করে রোজ কলা খাচ্ছেন। যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের কাছেও কলা উপাদেয় একটি খাবার। অল্প খিদে মেটাতে রাস্তাঘাটে এটা-সেটা না খেয়ে কলা খেতেই পারেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু কলার খোসাও যে ফেলনা নয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ত্বকের ক্ষেত্রে রাসায়নিক ব্যবহার যত কম হয়, ততই ভাল। নামী-দামি প্রসাধনীর বদলে কলার খোসা কিন্তু ব্যবহার করাই যায়। ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে কলার খোসায় থাকা প্রাকৃতিক তেল এবং জল।
ত্বকের কোন কোন সমস্যায় কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন?
১) মুখে বলিরেখা পড়তে শুরু করেছে? অ্যান্টি-এজিং ক্রিম না মেখে কলার খোসা ঘষতে শুরু করুন। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করবে। আবার ত্বক টান টান রাখতেও সাহায্য করবে।
২) শীতের শুরুতেই হাত-পা ফাটতে শুরু করে। হাত এবং পায়ের জন্য আলাদা ক্রিম না কিনে কলার খোসা ঘষলেই কাজ হবে।
৩) কলার খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। ত্বকের তরতাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাকও বানানো যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) চোখের তলার কালি কিছুতেই কমছে না? কলার খোসা টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খোসাগুলি বার করে চোখের উপরে বসিয়ে নিন। কয়েক দিন টানা ব্যবহার করলে বেশ ভাল ফল পাবেন।
৫) কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাকও বানানো যায়। কলার খোসায় ভিটামিন বি ৬, বি ১২, জিঙ্ক, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এটি। কলার খোসা, সামান্য কলা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটির সঙ্গে এক চামচ মধু, এক চামচ দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে এবং ঘাড়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন। মিনিট ১৫ পরে ভাল করে ধুয়ে নিলেই জেল্লা আসবে ত্বকে।