চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে আয়ুর্বেদে। ছবি : সংগৃহীত
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, মাথা খুসকিতে ভরা। তেল, সাবান, শ্যাম্পু, সালোঁয় গিয়ে স্পা, যা-ই করান না কেন, দু’দিন পর খুসকি আবার সেই নিজের জায়গায় ফিরে আসে। বাধ্য হয়ে বন্ধু, আত্মীয়, পাশের বাড়ির কাকিমা, যে যা ঘরোয়া টোটকা বলেছেন, সবই এক বার করে চুলে মেখে ফেলেছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সমাধান লুকিয়ে আছে আয়ুর্বেদে। আয়ুর্বেদের এই টোটকাগুলি খুসকি তো নির্মূল করেই, উপরন্তু চুলের জন্য যে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলির কোনওটাই তেমন ব্যয়সাপেক্ষ নয়।
খুসকি নির্মূল করতে কী কী উপাদানের উপর ভরসা রাখতে পারেন?
১) নিম
ঘামে ভেজা মাথা ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে, তাতে ধুলো-ময়লা জমে খুসকি হতে পারে। অনেক সময়ে শ্যাম্পু করেও খুসকির হাত থেকে রেহাই মেলে না। নিম কিন্তু খুসকি তাড়াতে জাদুর মতো কাজ করে। কারণ, নিমে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। নিমের তেল মাখতে পারেন বা ভেষজ শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে মাখতে পারেন নিম পাতার গুঁড়ো।
২) অ্যালো ভেরা
নিম, অ্যালো ভেরা এবং আমলকি দিয়ে বানিয়ে নিন একটি ঘরোয়া প্যাক। খুসকি তাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই টোটকা।
৩) মেথি
রাতে ভেজানো মেথিদানার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ বানান। তার পর ব্যবহার করুন মাস্ক হিসাবে। নারকেল তেলে ১০ দিন ধরে মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ওই তেল ছেঁকে নিয়ে মাথায় মালিশ করুন। এতে খুসকি ও চুলপড়ার সমস্যা দুই-ই দূর হবে।
৪) জবাফুল
খুসকি কমাতে এবং চুলের সামগ্রিক পরিচর্যার জন্য অনেকেই জবাফুলের তেল মাখেন। খাঁটি নারকেল তেলের সঙ্গে জবাফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে নিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় এই তেল।
৫) ভৃঙ্গরাজ
কেশ পরিচর্যায় প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয় ভৃঙ্গরাজ। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম-সহ আরও বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ ভৃঙ্গরাজকে তাই ‘ভেষজের রাজা’ বলা হয়। মাথার ত্বকে শুষ্কতা, অকালপক্বতা খুসকি দূর করতে ভৃঙ্গরাজ অব্যর্থ।