চুল প্রতিস্থাপনের আগে ও পরে ক্রিকেটার মহম্মদ শামি। ছবি: সংগৃহীত।
মাথায় টাকের পরিধি যত বিস্তৃত হয়, ততই মানুষের মনে হীনম্মন্যতা বাড়তে থাকে। অনেকে আবার এই কারণে অবসাদেও ভুগতে শুরু করেন। অকালে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা মেনে নিতে পারেন না কেউ কেউ। চুলের ঘনত্ব বেশি দেখানোর জন্য অনেকেই নানা রকম পন্থা অবলম্বন করেন। কেউ পরচুলার উপরে ভরসা করেন, কেউ আবার চুল প্রতিস্থাপন করানোর ভাবনা শুরু করেন। সম্প্রতি বলিউড ছবির প্রযোজক বনি কপূর ও ক্রিকেটার মহম্মদ শামির চুল প্রতিস্থাপন নিয়ে নেটমাধ্যমে চর্চার শেষ নেই। ৬৭ বছর বয়সে বনি কপূর চুল উঠে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন, চুল প্রতিস্থাপন করানোর পর তার বয়স টের পাওয়ার উপায় নেই। অন্য দিকে ক্রিকেটার মহম্মদ শামিও একেবারে ভোল বদলে ফেলেছেন চুল প্রতিস্থাপন করানোর পর।
কী ভাবে করা হয় চুল প্রতিস্থাপন?
যেখানে চুলের আধিক্য রয়েছে সেখান থেকে ফলিক্ল ও চুলের গোড়া সংগ্রহ করা হয় প্রথমে। তার পর মাথার যেখানে চুল নেই অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করা হয়। ‘হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ পদ্ধতিতে অল্প কয়েক ঘণ্টায় কেবল মাথার চুলই নয়, ভ্রু, চোখের পলক, এমনকি যৌনাঙ্গের কেশও প্রতিস্থাপন সম্ভব। সঠিক পদ্ধতি মেনে চুল প্রতিস্থাপন করানো হলে প্রাকৃতিক চুলের সঙ্গে এর কোনও তফাত চোখে পড়ে না। প্রতিস্থাপিত চুলের বৃদ্ধিও হয় সাধারণ চুলের মতোই। কাজেই পরবর্তী কালে চুল কাটাতেও সমস্যা হয় না, চুল নিয়ে রকমারি কারসাজি করতেও কোনও সমস্যা হয় না।
‘হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ কি ঝুঁকিপূর্ণ?
চিকিৎসকদের মতে, চুল প্রতিস্থাপনের জন্য যে ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয় তা সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন। আর পাঁচটি অস্ত্রোপচারের মতো এই পদ্ধতির পরেও সংক্রমণ আটকাতে খেতে হয় অ্যান্টিবায়োটিক। প্রদাহের জন্যও খেতে হতে পারে ব্যথা কমানোর ওষুধ। প্রক্রিয়াটির পর মাসখানেক কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলা জরুরি। বন্ধ রাখতে হয় কঠোর শরীরচর্চা। অন্তত মাসখানেক ব্যবহার করা যায় না কোনও ধরনের রাসায়নিক প্রসাধনী। অনেকে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ করানোর পরেও পরচুলা পরেন, সে ক্ষেত্রে কিন্তু আরও বেশি টাক পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
‘হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ করাতে কেমন খরচ হতে পারে?
চুল প্রতিস্থাপন করানোর প্রক্রিয়াটি বেশ খরচসাপেক্ষ। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ক’টা সিটিং প্রয়োজন, কোন জায়গা থেকে করাচ্ছেন, তার উপরেও খরচের বিষয়টি নির্ভর করে। মাথার ক্ষেত্রে অল্প টাক হলে ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ পড়তে পারে। টাকের পরিধি যত বেশি হবে খরচের পরিমাণও ততই বাড়বে।