ত্বকের সমস্যা ভেদে নানা সমাধান। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুম মানেই সংক্রমণের বাড়-বাড়ন্ত। একই সঙ্গে রোদ, ঘামের উপদ্রবে ত্বকের হাজারও সমস্যা। শরীর সুস্থ রাখতে যেমন সুষম খাবার খাওয়া দরকার, শরীরচর্চার দরকার, তেমনই ত্বকের সমস্যা মেটাতে উপযুক্ত পরিচর্যাও জরুরি।এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম বেশি হয়। ত্বকে থাকা সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ ঘাম, নোংরায় ভরে যায়। যার ফলে ব্রণ, র্যাশ-সহ নানা সমস্যা হয়। ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ‘এক্সফোলিয়েশন’ যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনই দরকার হয় মাস্কের। সমস্যা অনুযায়ী আলাদা সমাধান।
কালচে রুক্ষ ত্বক
রোদের তাপে, জল খাওয়া কম হলে ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায়। কালচে ছোপ দূর করতে দারুণ কাজ করে আলুর রস। মুখে ও চোখের নীচে এই রস মেখে ৫ মিনিট শুকাতে দিন।
মিক্সারে পাকা পেঁপে, টক দই ও কয়েক ফোঁটা ‘ল্যাভেন্ডর এসেনশিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মেখে নিন। মিনিট পনেরো রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। আলুতে থাকা উৎসেচক, ত্বকের কালচে ভাব দূর করে। পেঁপে ত্বক উজ্জ্বল করে। ল্যাভেন্ডর তেলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। তবে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’-এ অনেকের অ্যালার্জি হয়, তাই প্রয়োজনে এই উপকরণটি বাদ দিতে পারেন।
ব্রণ ও মিশ্র ত্বকের সমস্যা
অনেকেরই নাক, কপালের অংশে তেলতেলে ভাব বেশি থাকে। সমস্যা হয় ব্রণের। মিশ্র ত্বক থাকলে রূপচর্চায় বেছে নিন কাঁচা হলুদ ও দুধ। দুধে থাকে ‘আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড’, যা ত্বকের মৃত কোষ সরাতে ও ছিদ্রমুখ খুলতে সাহায্য করে।
র্যাশ ও লালচে ত্বক
রোদের তাপে অনেকেরই ত্বক লালচে হয়ে যায়। র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এমনটা হলে চালের জল, শসার রস ও টক দই দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মিনিট পনেরো মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
প্রদাহ কমাতে
প্রবল রোদে ত্বকে প্রদাহ হয়, ঔজ্জ্বল্য চলে যায়। ব্রণেরও সমস্যা হয়। এমন ত্বকে জৌলুস ফেরাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে ভিটামিন-সি তে ভরপুর কমলালেবুর খোসা। শুকনো খোসা ভাল করে গুঁড়িয়ে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মাখলে মুখের জ্বালা-পোড়া কমবে।
নাক তেলতেলে
ঘুম থেকে উঠলেই কি নাক ও কপাল তেলতেলে হয়ে থাকে? অতিরিক্ত তেল ক্ষরণের ফলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। সংক্রমণ হতে পারে এতে। এক্ষেত্রে মূলতানি মাটি ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মোটা করে নাকে ও কপালে লাগিয়ে রাখতে হবে না শুকনো পর্যন্ত। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে বার তিনেক করলেই সমস্যা কমবে।