নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। ছবি- প্রতীকী
মুখের সঙ্গে মানিয়ে যতই চুল কাটুন, কারও একঢাল, ঘন চুল দেখলে আপনার চোখও সে দিকে আটকে যায়। ফ্ল্যাশব্যাকে মনে পড়ে যায়, লম্বা দুটো বেণী দুলিয়ে স্কুলে যাওয়ার স্মৃতি। বাইরে থেকে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সেরাম এমনকি নানা রকম ট্রিটমেন্ট করিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিচর্যা করা সম্ভব হয় না। বাইরের দূষণ, ক্ষতিকারক রাসায়নিক চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। তখন চুল কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় অবশিষ্ট থাকে না।
চুল কেমন হবে, তা শুধু বাহ্যিক পরিচর্যার উপর নির্ভর করে না। তাই চুল লম্বা করার আগে নজর দিন মাথার ত্বকে। মাথার ত্বকে ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন না হলে চুল লম্বা তো হবেই না, উল্টে চুল ঝরবে। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তা চুলকে লম্বা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে অধো মুখো শবাসনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ছবি- প্রতীকী
তিনটি যোগাসন চুল লম্বা ও মজবুত করার জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী—
১) অধো মুখো শবাসন
হাত টান টান করে, উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর হাত-পা মাটিতে রেখেই কোমর এমন ভাবে তুলুন, দেখতে যেন উল্টো ‘ভি’-র মতো লাগে। ১০ সেকেন্ড ওই অবস্থায় থাকুন।
প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ বার এই আসনটি করলে অচিরেই চুল পড়া বন্ধ হবে। ছবি- প্রতীকী
২) মৎস্যাসন
প্রথমে পদ্মাসনে বসুন। তার পর হাতে ভর দিয়ে পিছন দিকে হেলিয়ে দিন মাথা। এ বার হাতের তালুকে কাঁধের পিছনে ঠেকিয়ে তাতে ভর করে গ্রীবা যতটা পিছনে সম্ভব, মুড়তে চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে পিঠ আর বুক মাটি থেকে তুলতে চেষ্টা করুন। হাত দিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল টেনে ধরে রাখুন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ বার এই আসনটি করলে অচিরেই চুল পড়া বন্ধ হবে।
বালায়াম করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে। ছবি- প্রতীকী
৩) বালায়ম
আঙুল মুড়ে দুই হাতের নখ একসঙ্গে ঘষলেই মিলবে সুফল। যোগে এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। এই ব্যায়াম বালায়াম নামেও পরিচিত, যার আক্ষরিক অর্থ চুল ব্যায়াম। বালায়াম করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে। তবে এই ব্যায়াম করার সময়ে বুড়ো আঙুলের নখ ভুলেও ঘষবেন না। সারা দিনে মিনিট দশেক এই ব্যায়াম করলেই হবে।