পুজোয় সেজে উঠুন আলিয়ার সাজে। ছবি: শাটারস্টক।
অনলাইনে পোশাক কিনেই ইতিমধ্যেই আলমারি ভরিয়েছেন। পুজোর সাজ বলে কথা! শাড়ি থেকে জাম্পস্যুট, সবই রয়েছে সেই তালিকায়। পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ না হলে কিন্তু পুজোর লুক একেবারে মাটি! চড়া মেক আপ পছন্দ নয়, অথচ পুজোয় হালকা মেক আপ করে ফটোশ্যুট না করলেই নয়! সে ক্ষেত্রে সকাল হোক কিংবা বিকেল, ‘নো মেক আপ’ লুকেই নজর কাড়তে পারেন সকলের! কী ভাবে মিনিট দশেকেই ই সেরে ফেলতে পারবেন সেই সাজ, রইল তারই হদিস।
১) প্রথমে ত্বকে খুব ভাল করে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তার পর সারা মুখে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। প্রাইমার লাগিয়ে নিন। মেক আপ বেশি ক্ষণ স্থায়ী করতে এই পদ্ধতিটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
২) এর পর চোখের তলায় এবং দাগছোপ আছে এমন জায়গায় খুব অল্প মাত্রায় কনসিলার ব্যবহার করে স্পঞ্জ দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই রঙের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তবে মনে রাখবেন, খুব বেশি পরিমাণে ফাউন্ডেশন মোটেই ব্যবহার করবেন না। এমন ভাবে ব্লেন্ড করুন যাতে ফাউন্ডেশন পুরোটাই বসে যায় ত্বকে। এমন ফাউন্ডেশন বাছতে হবে, যাতে তা নিখুঁত ফিনিশ দেয় ত্বকে।
পুজোর সাজের সঙ্গে থাকুক ‘নো মেক আপ লুক’-এর কেরামতি!
৩) এ বার ব্রোঞ্জার দিয়ে কনটোরিং করে নিন। একটি ব্রাশের সাহায্যে চিবুক, কপাল ও গালে হাইলাইটার লাগাতে পারেন, তবে খুব বেশি নয়। ত্বকে রোমকূপ রন্ধ্রের সমস্যা থাকলে হাইলাইটার ব্যবহার না করাই ভাল। হালকা পিচ কিংবা গোলাপি রঙের ব্লাশ ব্যবহার করুন।
৪) চোখের উপরের ও নীচের পাতায় বেজ কিংবা হালকা ব্রাউন শেডের আইশ্যাডো লাগান। লাইনার লাগানোর প্রয়োজন নেই। হালকা করে কাজল পরতে পারেন। কাজলের নীচেও হালকা করে আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। মাস্কারা ব্যবহার করতে ভুলবেন না। চোখের ভ্রূকে ভরাট দেখাতে হালকা করে কালো রঙের আইব্রো পেন্সিল বুলিয়ে নিন।
৫) এ বার কেবল ন্যুড শেডের লিপস্টিক ও গ্লস লাগিয়ে নিলেই আপনার নো মেক আপ লুক তৈরি! তবে এ ক্ষেত্রে ম্যাট নয় হালকা গ্লসি লিপ শেড ব্যবহার করুন। মেক আপ শেষে ফের সেটিং স্প্রে লাগিয়ে নিন।