যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, তাঁরা সূর্যমুখী ফুলের বীজও খেয়ে থাকেন। ছবি- সংগৃহীত
এমনিতে প্রতিদিনের রান্নার জন্য সর্ষের তেল ব্যবহার করলেও লুচি ভাজতে অনেকেই সূর্যমুখীর তেল পছন্দ করেন। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, তাঁরা সূর্যমুখী ফুলের বীজও খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই সূর্যমুখীর তেল দিয়ে যে ত্বকের বহু সমস্যা মিটতে পারে, তা হয়তো আপনার জানা ছিল না। তবে, রান্না করতে করতে ওই তেল মুখে মেখে নিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ত্বকে মাখার জন্য যে সূর্যমুখীর তেল পাওয়া যায়, তা নিষ্কাশন করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা।
অন্যান্য তেলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল, অনেকটাই হালকা। ছবি- সংগৃহীত
তেল মাখলে চটচট করে বলে অনেকেই মুখে তেল মাখতে পছন্দ করেন না। তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন সূর্যমুখীর তেল। অন্যান্য তেলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল, অনেকটাই হালকা। তাই খুব সহজেই ত্বকে মিশে যেতে পারে। এ ছাড়াও, সূর্যমুখীর তেলের আরও কিছু উপকারিতা আছে।
কেন মাখবেন সূর্যমুখীর তেল?
১) সূর্যমুখীর তেল রোদে পোড়া ত্বক থেকে ট্যান দূর করে। সূর্যমুখী ফুলে আছে লিনোলাইক অ্যাসিড, যা ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমায়।
২) মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে। শুষ্ক ত্বকের প্রধান সমস্যা হল মৃত কোষ। সূর্যমুখীর তেলে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
৩) ব্রণ, র্যাশ, ব্ল্যাকহেডস, ওয়াইটহেডস, বলিরেখার মতো মুখের যাবতীয় সমস্যা মেটাতে পারে সূর্যমুখীর তেল।
৪) মুখে কোনও গভীর ক্ষত থাকলে, ব্যবহার করে দেখুন সূর্যমুখীর তেল। সূর্যমুখীর লিনোলাইক অ্যাসিড খুব কম সময়ের মধ্যে ক্ষত সারিয়ে তোলে।
৫) ব্রণ, র্যাশ, লাল হয়ে যাওয়া স্পর্শকাতর ত্বকের নিত্যসঙ্গী। কখন ত্বকে কী হয়ে যাবে, এই ভয়ে অনেকেই কিছু মাখতে চান না। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করুন সূর্যমুখীর তেল।