পেটের মেদ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
মেশিনে উঠে ওজন বাড়তে দেখলেই চোখ চলে যায় সোজা পেটের দিকে। ভুঁড়ির আকার, আয়তন কতটা বাড়ল, সেই চিন্তা কুরে কুরে খায়। বেশির ভাগ মানুষের কাছেই শরীরচর্চা করার আসল লক্ষ হল পেটের মেদ ঝরানো। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার তাঁদের পছন্দের অভিনেতার মতো পেটে অ্যাব তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে শুধু মেদ ঝরানো বা অ্যাব তৈরি নয়, প্রশিক্ষকেরা বলছেন, পেট-সহ দেহের নিম্নাঙ্গের পেশি সবল, নমনীয় এবং ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। তিনটি আসন নিয়মিত করতে পারলেই এই সব লক্ষপূরণ হবে।
১) নৌকাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ এবং পা একসঙ্গেই উপরের দিকে তুলুন। আপনার বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় থাকুন ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন। ৩ থেকে ৪ বার এই আসনটি অভ্যাস করতে হবে।
পেটের মেদ ঝরাতে দারুণ কার্যকরী এই ব্যায়াম। ছবি: সংগৃহীত।
২) পালকাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দু’টিকে সামনের দিকে ভাঁজ করে কাঁধ বরাবর রাখুন। এ বার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে ঠেলে তুলুন। শরীর উপরে তোলার সময়ে পায়ের শরীরের সমস্ত ভর থাকবে হাতের তালু ও পায়ের বুড়ো আঙুলের উপর। বাকি শরীরটা হাওয়ায় ভাসবে। হাতের কনুই যেন ভাঁজ না হয়, সে দিকে নজর রাখুন। পেটও টেনে রাখবেন ভিতরের দিকে। প্রথম প্রথম দশ সেকেন্ড এমন করে থাকার অভ্যাস করুন। তার পর আয়ত্তে এলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। দু’পায়ের মাঝে ফাঁকও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে আনবেন।
৩) বীরভদ্রাসন
প্রথমে দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত ব্যবধানে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এ বার দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেন একদম সোজা ও আকাশের দিকে মুখ করা থাকে। এর পর কোমর থেকে দেহের উপরিভাগ এক দিকে ঘুরিয়ে নিন। যে পাশে ঘুরছেন, সেই পাশের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড স্থির হয়ে থেকে ২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিন, তার পর অন্য দিকে আবার করুন ২০ সেকেন্ডের জন্য।