অকাল বার্ধক্য যেন না আসে। ছবি:সংগৃহীত।
লাগামহীন জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, অতিরিক্ত দূষণ— শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে না চাইতেও কম বয়সে অকালে ত্বক বুড়িয়ে যায়। চেহারায় এসে পড়ে বার্ধক্যের ছাপ। প্রকৃতির নিয়ম মেনে বার্ধক্য আসবেই। কিন্তু সব সময় হিসাবনিকাশ মেনেই বার্ধক্য আসছে, এমন নয়। চামড়া টানটান থাকছে না। তবে প্রাত্যহিক কয়েকটি অভ্যাসই পারে অকালবার্ধক্যকে দূরে রাখতে।
রোদ থেকে সতর্ক হোন
আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ যদি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি কেউ ফেলতে পারে, সেটা রোদ। কাজেই রোদে বেরোলে সঙ্গে রাখুন ছাতা, টুপি, রোদচশমা। পরুন গা-ঢাকা জামা। আর অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মাখতে ভুলবেন না। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। রোদ থাকলে তো বটেই, এমনকি মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না।
যথেষ্ট ঘুম প্রয়োজন
রাতে ঠিক মতো ঘুমোচ্ছেন না? ত্বকে কিন্তু বয়সের ছাপ পড়তে বাধ্য। কারণ ঘুমোনোর সময় ত্বকে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়, যা ত্বককে বলিরেখার হাত থেকে বাঁচায়। তাই প্রতি দিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমোন। কম ঘুমোলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়ে, তা থেকে অচিরেই চেহারায় পড়তে পারে বার্ধক্যের ছাপ।
পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া করুন
রোজ ডায়েটে এমন খাবার রাখুন, যাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। কারণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে নমনীয় করে ও অকালবার্ধক্যের সমস্যাকে সহজেই প্রতিহত করে। পাতে রাখুন বেল পেপার, ব্রকোলি, গাজর ও সবুজ শাকসব্জি। আর রোজ অন্তত বেদানা, ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো জাতীয় যে কোনও ফল খান। দিনের মধ্যে অন্তত এক বার গ্রিন টি খেতে পারেন।
ত্বককে আর্দ্র রাখুন
একটা বয়সের পর রোজ নিয়ম মেনে ত্বককে ময়শ্চরাইজ করা জরুরি। কারণ মুখে ময়শ্চরাইজার লাগালে ত্বক অনেক বেশি আর্দ্র আর তরতাজা থাকে। বলিরেখার সমস্যাও কমে। তবে ময়শ্চরাইজার কেনার আগে দেখে নিন, তাতে যেন ভিটামিন সি বা ভিটামিন এ থাকে।