কিছু ঘরোয়া উপকরণই ত্বকে আসতে পারে নজরকাড়া জেল্লা। —প্রতীকী ছবি।
চটজলদি জেল্লা আনবে, এমন প্রসাধনীর খোঁজ করেন অনেকেই। ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গেই জেল্লাদার হবে ত্বক, বাজারচলতি প্রসাধনীর থেকে এমন আশা করা ঠিক হবে না। চটজলদি তো দূর, দীর্ঘ দিন ব্যবহার করেও অনেক সময় সুফল পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সংস্থার তৈরি প্রসাধনীতে রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে। ফলে লাভের লাভ কিছুই হয় না। এই কারণে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখার কথা বলা হয়। চেনা কিছু ঘরোয়া উপকরণই ত্বকে আসতে পারে নজরকাড়া জেল্লা। ঘরোয়া টোটকার শেষ নেই। ত্বকের দেখাশোনায় কোনগুলি বেছে নেবেন, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে দই এবং মধু কিন্তু ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। দই এবং মধু ত্বকে মাখলে কী কী উপকার পেতে পারেন?
ত্বক মসৃণ হয়
ত্বক চকচকে হওয়ার চেয়েও মসৃণ হওয়া বেশি জরুরি। দইয়ে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড আর ‘হিউমেকট্যান্ট’-এর সমৃদ্ধ উৎস হল মধু। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে এই দু’টি উপকরণ বেশ জরুরি। মধুর সঙ্গে দই মিশিয়ে মাখতে পারলে উপকার পাবেন।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে
মধু এবং দই প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে। এই দু’টি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে মাখলে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বক ভিতর থেকে জেল্লাদার হয়ে ওঠে।
সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
মধু এবং দই, দু’টিই প্রোবায়োটিক উপাদান। ফলে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাই দই এবং মধু শুধু মুখে না মেখে, মাঝেমাঝে খেতেও হবে। এতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে না। পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ত্বকও ভাল থাকবে।
বলিরেখা দূর
কম ঘুম, ধূমপান, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক— এই অভ্যেসগুলির প্রভাব পড়ে ত্বকেও। এর ফলে বলিরেখা, মেচেতার মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। দই এবং মধুর মিশ্রণ কিন্তু বলিরেখার সমস্যা দূর করে। বলিরেখা তাড়াতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই দুই উপকরণের উপর।