কিছু খাবার খেলে ঠোঁট আর ফাটবে না। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে হাত-পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা নতুন নয়। শীতকালের অন্যতম লক্ষণ এগুলি। তবে শীতে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ফাঁটা ঠোঁট। শীতের আগে থেকেই ঠোঁট ফেটে চৌচির হতে শুরু করে। কনকনে শীতে ঠোঁটের দিকে তাকানোর উপায় থাকে না। লিপস্টিক দিয়েও আড়াল করা যায় না ঠোঁটের করুণ অবস্থা। অনেকেই পেট্রোলিয়ামজাত জেলি ব্যবহার করেন। তাতে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও কিছু দিন পরেই আবার আগের অবস্থা ফিরে আসে। তাই ফাঁটা ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে অন্য উপায়ে। কিছু খাবার যদি বেশি করে খেতে পারেন, তা হলে ঠোঁট মসৃণ ও কোমল হবে।
ফল এবং শাকসব্জি
জল আছে এমন ফল এবং শাকসব্জি বেশি করে খান। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলেও ঠোঁট অত্যধিক ফাটতে শুরু করে। শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমে যায়। তাই জল সমৃদ্ধ ফল আর সব্জি বেশি করে খান। শসা, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকোলির মতো ফল এবং সব্জি খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ঠোঁটের যত্নে বেশি করে মধু খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
মধু
মধু হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার। ঠোঁটের যত্নেও বেশি করে মধু খেতে পারেন। উপকার পাবেন। অনেকেই ঠোঁটে মধু লাগান। সেটাও করতে পারেন। তবে ভিতর থেকে যত্ন নিলে সহজে সমস্যা ফিরে আসে না। শুধু ঠোঁট নয়, মধু ত্বকের কোমলতাও বজায় রাখে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
ঠোঁট হোক কিংবা ত্বক, যত্ন নিতে ভিটামিন ই হল অপরিহার্য। তাই ঠোঁট ফাটা কমাতে ভিটামিন ই আছে এমন খাবার বেশি করে খেতে পারেন। কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, পালং শাক, ব্রকোলিতে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে এই ভিটামিন। ঠোঁট মসৃণ করে তুলতে এই ধরনের খাবার নিয়ম করে খান।