জুতো নিয়ে নাজেহাল মানুষগুলির জন্যে রইল সহজ কয়েকটি পরামর্শ।
হাতঘড়ি, রোদ চশমার রকমারি সংগ্রহের পাশাপাশি অনেকের কাছেই নানা রকম জুতোর বিপুল সম্ভার। অনেকেই আছেন যাঁরা পছন্দসই জুতো দেখলেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না, পকেট গড়ের মাঠ করে দিয়েও তা কিনে ফেলেন। অথচ বাইরে বেরোনোর সময় কোন জুতো পরলে ভাল হয়, সেই বিষয়ে নাজেহাল হয়ে সেই একই পুরোনো জুতো পরে বেরিয়ে পড়েন। আবার অনেকেই কোন পোশাকের সঙ্গে কোন জুতোটি পরবেন সেটা বুঝতে পারেন না। স্থান অনুযায়ীও পোশাক ও জুতোর ক্ষেত্রেও বিভিন্নতা থাকা প্রয়োজন। জুতো নিয়ে নাজেহাল মানুষগুলির জন্যে রইল সহজ কয়েকটি পরামর্শ।
জুতো কিনুন আবহাওয়া অনুযায়ী
এখন যেহেতু শীতকাল তাই কায়দার জুতোর চেয়ে এখন পা ঢাকা জুতো পরাই সবচেয়ে ভাল। এতে পা বাইরের ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাবে। আবার বর্ষাকাল এলে এমন জুতো কেনা ভাল যেগুলি বৃষ্টিতে ভিজেও নষ্ট হবে না।
অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে আলাদা জুতো
অফিসে কোনও মিটিং থাকলে অবশ্যই চামড়ার জুতো পরুন। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন কালো বা বাদামি রঙের কোনও জুতো। মেয়েদের ক্ষেত্রে পরা যেতে পারে আড়াই ইঞ্চি চামড়ার হিল। তবে এখন যেহেতু শীতকাল তাই অফিসে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে স্পোর্টস শ্যু বা পাম্প শ্যু ধরনের জুতো পরাই ভাল।
প্রতীকী ছবি।
উৎসব-অনুষ্ঠানে
বিয়ে বাড়িতে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবী অথবা শেরওয়ানির সঙ্গে পরতে পারেন নাগরা বা কোলাপুরী জুতো। মেয়েরা জমকালো শাড়ি বা অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে পরতে পারেন ভেলভেট বা রেশমের কাপড়ের কারুকাজ করা জুতো। বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়ে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই পরতে পারেন স্নিকার্স, কিটো।
বেড়াতে গেলে
কোথাও বেড়াতে গেলে অবশ্যই কাপড়ের আরামদায়ক ঢাকা জুতো পরতে পারেন। তবে কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন, সেই জায়গার উপর নির্ভর করছে আপনি কেমন জুতো পরবেন। পাহাড়ে গেলে স্নিকার্স, জঙ্গলে গেলে বুটজুতো বা সমুদ্রে গেলে রবারের স্যান্ডেল পরাটাই শ্রেয়।
খেলাধুলো করার ক্ষেত্রে
এ ক্ষেত্রে খেলার ধরনের উপর নির্ভর করবে কী জুতো পরবেন। ফুটবল খেলার সময়ে পরতে হবে স্পাইক দেওয়া বিশেষ জুতো। ব্যাডমিন্টন আর টেনিসের খেলতে হলে সেই অনুযায়ী জুতো পরতে হবে। সকাল সকাল হাঁটতে বেরোলে পরুন জগিং করার জুতো।
বাড়িতে পড়ুন স্লিপার্স
বাড়িতে পরতে পারেন রকমারি চপ্পল। গরমের দিনে অফিসে যেতে পারেন হাল-ফ্যাশনের স্যান্ডেল। তবে সে ক্ষেত্রে চামড়ার স্যান্ডেল পরতে পারেন।