নখে নেলপলিশ লাগিয়ে, তা শুকিয়ে নিতে হয় ‘ইউভি’ ল্যাম্পের তলায়। ছবি- সংগৃহীত
হাতের নখ সহজেই ভেঙে যায়? কাজ থেকে ফিরে সারা দিন পর সঠিক ভাবে যত্নও নেওয়া হয় না? নখের সৌন্দর্য বজায় রাখতে ইদানীং ‘নেল এক্সটেনশন’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসল নখের উপর আঠা দিয়ে কৃত্রিম নখ বসিয়ে তার উপর নানান রঙের কারুকাজ। দেখতে নিঃসন্দেহে সুন্দর লাগে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বার বার নখের উপর এই কৃত্রিম নখরঞ্জনি করানোর ফলে হতে পারে মারণরোগ ক্যানসার। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন এই ভাবে নখের উপর রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে নখের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ত্বকের উপর কী ভাবে এর প্রভাব পড়তে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ‘নেল এক্সটেনশন’ করাতে অন্তত পক্ষে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। আঠা দিয়ে কৃত্রিম নখ বসানো, রাসায়নিক জেলের সাহায্যে পরতে পরতে নখের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে তোলা, ধাপে ধাপে তার উপর বিভিন্ন রঙের কারুকাজ করা, এগুলো শেষ হলে তা শুকিয়ে নেওয়ার সময় আসে। ঠিক এই ধাপে এসেই সমস্যা শুরু হয়। এই একের পর এক পরত শুকোতে গেলে সাহায্য নিতে হয় ‘ইউভি লাইট’ দেওয়া বিশেষ একটি ল্যাম্পের। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সব সময়ে সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু নখের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। নখ এবং সেই সংলগ্ন ত্বক ওই তীব্র নীলচে আলোর মধ্যে প্রবেশ করানো মাত্রই তা অতিবেগনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকে যে পরিমাণ ক্ষতি করে, অতিরিক্ত নখরঞ্জনি করালে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। যা থেকে পরবর্তী কালে ত্বকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে গেলে নেল এক্সটেনশন করানোতে লাগাম টানতেই হবে। আর অবশ্যই ত্বকের মতো নখ এবং সেই সংলগ্ন অঞ্চলে ‘এসপিএফ’যুক্ত সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
অতিরিক্ত ‘ব্লু ল্যাম্প’-এর সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
নখের আশপাশের ত্বকে ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?
১) নখের আশপাশের চামড়া লালচে হয়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বক খুব শুষ্কও হয়ে পড়ে।
২) ত্বকের উপর আঁচিলের মতো অবাঞ্ছিত কিছু জিনিস দেখা দিতে পারে।
৩) নখের কোণে হওয়া কোনও ক্ষত সারতে সময় লাগতে পারে এবং তা থেকে ক্রমাগত রক্তপাত হতে পারে। নখের আকার, গঠন এবং রং বদলে যেতে পারে।