অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ রসুন বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছবি: সংগৃহীত
ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল এমন মানুষ বোধহয় বিরল। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ব্রণর সমস্যা অনেক বেশি। ব্রণ তাড়াতেও চেষ্টার ঘাটতি রাখেন অনেকেই। বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার থেকে শুরু করে ঘরোয়া উপায়, বাদ রাখেননি কিছুই। অথচ ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পাননি। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনাকে বলা হয় রান্নাঘরের একটি উপাদানেই আপনার ব্রণর সমস্যার অবসান ঘটতে পারে, তা হলে কেমন হয়? তবে জেনে রাখুন ব্রণর সমস্যার অবসান ঘটাতে পারে রসুন।
রসুন কেন ব্রণ কমাতে পারে?
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ রসুন বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াকেও মেরে ফেলতে সক্ষম রসুন। রসুনের অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক উপাদান ব্রণ সংক্রমণ রোধ করে। ব্রণর ফলে তৈরি হওয়া দাগছোপও নিমেষে তুলতে সাহায্য করে রসুন।
ছবি: সংগৃহীত
ব্রণ তাড়াতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন রসুন?
রসুন ও গোলাপজল
গোলাপজল ও রসুনে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে জোট বাঁধলে নিমেষে দূর হবে ব্রণ। রসুন থেঁতো করে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ব্রণতে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রাখুন।তার পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
রসুন ও দই
রসুন থেঁতো করে তাতে দু’টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রসুন ও দই একসঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের উন্মুক্ত গর্তগুলি ভরাট করে।
রসুন ও অ্যালোভেরা
রসুন ও অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য দুই-ই খুব উপকারী। তিন-চারটি রসুন থেঁতো করে এর সঙ্গে অ্যালোভেরা ও অল্প জল মিশিয়ে ব্রণর উপর এবং আশেপাশে লাগান। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটি করতে পারেন।
তবে, আপনার ত্বক যদি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয় তাহলে রসুন ব্যবহারেসর্তক থাকুন। সরাসরি মুখের ত্বকে রসুন ব্যবহারের আগে হাতে এক বার রসুন ঘষে নিন। যদি জ্বালা ভাব হয় তাহলে মুখের ত্বকে রসুন ব্যবহার না করাইশ্রেয়।