সাতচল্লিশের কাজল কী ভাবে ধরে রাখেন চেহারার সতেজতা!
ত্বকের যত্ন আত্তি করার কথা এখনকার ছোটাছুটির ব্যস্ততার মধ্যে প্রায়ই আমাদের মনে পড়ে না। ধুলো-ধোঁয়া, দূষণে শরীরের ভেতরের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও হয় ক্ষতিগ্রস্ত । আবার তিরিশের কোঠা পার হলে মানুষের চোখের নীচে, কপালে, গলায় একটু একটু করে ফুটে উঠতে থাকে বয়সের চিহ্নও। পেলবতা দ্রুত হারাতে থাকে চামড়ার।
এ দিকে বলিউড-টলিউডের তারকাদের স্নিগ্ধ চেহারার প্রতি, তাঁদের বলিরেখাবিহীন ঝকঝকে মুখচোখের প্রতি আকর্ষণ সকলের অন্তহীন। দেখা যায়, অনেক তারকাই এমন আছেন যাঁদের পঞ্চাশের কাছাকাছি হলেও বয়স তেমন করে থাবা বসাতে পারেনি শরীরে। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন বলিউড-সুন্দরী কাজল।
বিগত প্রায় তিন দশক ধরে পর্দায় নিজের অভিনয়ের জাদু দিয়ে তিনি মুগ্ধ করে রেখেছেন আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু অভিনয়ের দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে এই সাতচল্লিশ বছর বয়সেও তাঁর চেহারার জেল্লা কিন্তু অবাক করার মতন। তবে তার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম মেনেই চলতে হয় তাঁকে।
বলিউড-সুন্দরী কাজল
নিজের রূপচর্চার রুটিন প্রসঙ্গে কাজল নিজেই বলেছেন,“বলিরেখা দেখা দিতে থাকলে চামড়া হারিয়ে ফেলে তার নিজস্ব সতেজতা। ফলে ত্বক নিয়ে আমি বরাবরই বিশেষ সচেতন। শরীর ডিটক্সিফাই করার জন্য দিনে অন্তত আট গ্লাস জল আমায় খেতেই হয়। এ ছাড়া রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে ক্রিম লাগাতেও সচরাচর ভুলে যাই না।”
রূপোলি পর্দার তারকাদের সকলকেই শরীরচর্চা এবং সুষম খাদ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। কাজলও এর ব্যতিক্রম নন। জিমে গিয়ে নিয়মিত ঘাম ঝরাতে হয় তাঁকেও। নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম— তাঁর রুটিনে থাকবেই থাকবে। এই সব ক’টি নিয়ম রোজ মেনে চললে আপনার চেহারাতেও তারুণ্যের ঔজ্জ্বল্য হবে দীর্ঘস্থায়ী।