দিশার রূপচর্চার রুটিন। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউ়ড নায়িকাদের ত্বকের জেল্লা বি-টাউনের অন্যতম চর্চার বিষয়। যাঁরা সেই চর্চার কেন্দ্রে থাকেন, ৩২ বছরের দিশা পটানি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। মেকআপের আস্তরণে নয়, দিশার ত্বক মেকআপ ছাড়াই চকচকে। নায়িকা ৩০ পেরিয়েছেন। এই বয়সটা সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৩০-এর পর থেকেই শরীর এবং ত্বকের প্রতি সামান্যতম অবহেলারও প্রতিফলন দেখা যায়। সঠিক যত্নের অভাবে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। তবে দিশাকে দেখলে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। ত্বকের বয়স এখনও সেই ২৩-এ আটকে রেখেছেন। অনেকেই সেটা পারেন না। তিরিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই বলিরেখা, মেচেতা জাঁকিয়ে বসে ত্বকে। দিশা কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করেন, সেই রুটিন অনুসরণ করে যদি চলা যায়, তা হলে তিরিশ কেন, চল্লিশেও ত্বক হবে টান টান। দিশা কী ভাবে যত্ন নেন ত্বকের?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে
ত্বকের খেয়াল রাখতে কোনও প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখেন না দিশা। যতটা সম্ভব ঘরোয়া, চেনা, সাধারণ উপকরণ দিয়েই ত্বকের খেয়াল রাখেন। তবে তাঁর রোজের রূপরুটিনে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং— এই তিনটিই থাকে। ত্বকের প্রাথমিক যত্নে এই তিন ধাপ মেনে চলেন দিশা।
মেকআপ পরিষ্কার করা
শুটিং শেষ করে বাড়ি ফিরতে গভীর রাত হলেও, মেকআপ না মুছে ঘুমোতে যান না দিশা। সারা দিনের পরিশ্রমের পরে যতই ক্লান্ত লাগুক, প্রথমে মেকআপ মুছে তার পর বাকি কাজে হাত দেন দিশা। মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যেতে পারে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
বাইরে রোদ থাক কিংবা মেঘলা, দিশা সানস্ক্রিন না মেখে বাইরে বেরোন না। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। তাই সানস্ক্রিন মাখতে ভোলেন না দিশা। এর ফলে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে না।
দিশা কী ভাবে যত্ন নেন ত্বকের? ছবি: সংগৃহীত।
সুষম ডায়েট
ত্বকের খেয়াল রাখতে শুধু পরিচর্যা করলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে। আর তাই দিশার রোজের খাবারে থাকে শাকসব্জি, ফলমূল, মাছ। এই ধরনের খাবার ত্বকের বেশ কিছু সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি দেয়। সেই সঙ্গে ত্বকে আনে ঔজ্জ্বল্য।
বেশি করে জল খাওয়া
বয়স যাই হোক, ত্বকের খেয়াল রাখতে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। ত্বক ভিতর থেকে সতেজ রাখতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। জল যত বেশি খাবেন, ত্বক ভিতর এবং বাইরে থেকে তত পরিষ্কার হবে।