চুল বড় করতে শুধু বাইরে থেকে প্রসাধন ব্যবহার করলেই হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
বড় চুলের স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। চুল কাঁধ বেয়ে কোমর পর্যন্ত নেমে আসবে, তেমন চাহিদা থাকে অনেকেরই। বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা, চুল বড় করতে চেষ্টার খামতি রাখেন না কেউই। অথচ তা সত্ত্বেও চুল লম্বা হয় না। চুল কত লম্বা হবে, তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তবে চুল বড় করতে শুধু বাইরে থেকে প্রসাধন ব্যবহার করলেই হবে না। একইসঙ্গে ভিতর থেকেও যত্ন নিতে হবে। শরীরে কিছু উপাদানের পরিমাণ কমে গেলে সাধারণত চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বিঘ্নিত হয়। তাই চুল বড় করতে শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলেই চলবে না, সেই সঙ্গে কয়েকটি ফলও খেতে হবে। কারণ ফল হল মিনারেলস, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস। চুল ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। লম্বা চুলের স্বপ্ন পূরণ হবে কোন ফলগুলি খেলে?
আপেল
মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য কমে গেলে সাধারণত চুলের নানা সমস্যা দেখা যায়। চুলও সহজে বড় হতে চায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি করে আপেল খেতে পারেন। আপেল খুশকির সমস্যা দূর করে চুল ভাল রাখে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে রয়েছে ইলাজিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড চুল পাতলা হতে দেয় না। চুলের গোড়া মজবুত করে। ফলে চুল ঝরার পরিমাণও অনেক কমে যায়।
আপেল খুশকির সমস্যা দূর করে চুল ভাল রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
আনারস
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল শুধু ত্বক নয়, খেয়াল রাখে চুলেরও। যে ভিটামিনের গুণে চুল লম্বা হয়, ভিটামিন সি সেই তালিকায় অন্যতম। ফলে লম্বা চুল চাইলে আনারস ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বেশ কয়েকটি ফল খেতে হবে নিয়ম করে।
পেঁপে
ত্বক এবং চুলের যত্ন নিতে পেঁপে দারুণ উপকারী। পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই-এর মতো উপাদান। এই ভিটামিনগুলি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে পেঁপে।
পেয়ারা
মাথার ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমে গেলে চুল সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। চুলও সহজে বাড়তে চায় না। পেয়ারা এমন একটি ফল, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে রোজ পেয়ারা খেলে।