ভিটামিন ই মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বজায় রাখে। ছবি: সংগৃহীত
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শীত বিদায় নিতে চলেছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। তবে শুধু কি শরীর? ত্বক ও চুলেও কিন্তু এর প্রভাব পড়ে। এই সময় শরীরের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। সে জন্য বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর উপর অনেকেই ভরসা করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে ভাল।
ভিটামিন ই শরীরের নানা উপকার করে। বার্ধক্যের প্রভাব কমায়, হাড়ের যত্ন নেয়, বন্ধ্যত্বের সমস্যা রোধ করে। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের উপকার করে।
‘ন্যাশনাল সেন্টার অব বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’ দ্বারা প্রকাশিত, ভিটামিন ই ১৯২২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিজ্ঞানীর হাত ধরে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে ভিটামিন ই। প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য যুক্ত ভিটামিন ই দূষিত পদার্থ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে। ত্বকের প্রতিটি কোষে প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর উপাদান জোগান দেয় ভিটামিন ই।
ভিটামিন ই ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের জন্য ভিটামিন ই
ভিটামিন ই ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন ই-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিস্তেজ ত্বকের জন্য খুব ভাল কাজ করে ভিটামিন ই। এ ছাড়া ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ভিটামিন সি এবং রেটিনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ উপাদানের সঙ্গে ভিটামিন ই মিলিত হয়ে চোখের নীচের বলিরেখা নিমেষে দূর করে দেয়।
চুলের যত্নে ভিটামিন ই
শুধু ত্বকেই নয়, ভিটামিন ই চুল ভাল রাখতেও সমান ভাবে যত্নশীল। ভিটামিন ই মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বজায় রাখে। চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়। স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল বজায় রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য।